ব্যাংক লুট ভোট চুরি ও মানুষ খুন, আওয়ামী লীগের বড় গুণ

12

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা, নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও দলীয় প্রধান কার্যালয়ে তান্ডব চালানোর অভিযোগ এনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম নগর বিএনপি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে নগর বিএনপির আহব্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশ হয়েছে। সেখানে দলটির সভানেত্রী বলেছেন, মানুষ খুন ও ভোট চুরি নাকি বিএনপির গুণ। উনি আসলে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়েছেন।ভোট চুরি, সন্ত্রাস, মামলা-হামলা, ব্যাংক লুট আর মানুষ খুন, আওয়ামী লীগের বড় গুণ। গতকাল (বুধবার) ঢাকার পল্টনে বিএনপির ওপর হামলা ও কর্মীদের খুন করার পর তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। পার্টি অফিসের সামনে নেতা-কর্মীরা থাকবে, সেটি তো স্বাভাবিক। কিন্তু পার্টি অফিসের সামনে যেভাবে সন্ত্রাসীরা হামলা করলো তা নজিরবিহীন। আমাদের শত শত নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন, গ্রেপ্তার করেছে, একজন নিহতও হয়েছেন।
তিনি বলেন, আজকেও বৈধ অফিসে এই আওয়ামী বাহিনী ঢুকতে দিচ্ছে না। এই ফ্যাসিবাদীর বিরুদ্ধে আমাদের জেগে উঠতে হবে। যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, সেটি ঢাকার বুকে যেকোনো জায়গায় হবে। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। ঢাকা শহরের প্রতিটি অলিতে গলিতে সমাবেশ হবে। এই সমাবেশ আপনারা বন্ধ করতে পারবেন না। টাকা পাচারের বিরুদ্ধে, ব্যাংক লুট ও খুনীর বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে। চট্টগ্রামের মানুষও জেগে উঠেছে। ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। অচিরেই এই স্বৈরাচার সরকারের পতন হবে।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, আওয়ামী সরকার ঐতিহ্যগতভাবে হিংসার চর্চা করে। এরা আইনের শাসনকে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে রক্ত ঝরাতে উন্মাদ হয়ে উঠেছে তারা।
নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী সরকার প্রতিবাদী মানুষের কণ্ঠরোধ করতে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দিয়ে এবং ক্ষমতাসীন দলের মাস্তানদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। এই পুলিশ ও মাস্তানরাই বিএনপির অফিসে হামলা করেছে। বিনা উস্কানিতে নেতা-কর্মীদের গুলি করেছে।
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহব্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহব্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহব্বায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মন্জুর আলম মন্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মহানগর বিএনপি নেতা জিএম আইয়ুব খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, কৃষক দলের আহব্বায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, তাঁতী দলের আহব্বায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মৎস্যজীবী দলের আহব্বায়ক হাজী নুরুল হক, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, মহিলাদলের গোলজার বেগম প্রমুখ।
নগর বিএনপি ছাড়াও গতকাল বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি। পৃথকভাবে এসব বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়।