ব্যক্তিগত আক্রমণ করলে সামাল দিতে পারবেন না

13

পূর্বদেশ ডেস্ক

ব্যক্তি আক্রমণ না করতে ওবায়দুল কাদেরের প্রতি আহবান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত পর্যায়ে আক্রমণ করলে সামাল দিতে পারবেন না। ‘অযথা ঘাঁটালে’ আওয়ামী লীগের পঙ্কিলতা বেরিয়ে আসবে বলে হুঁশিয়ার করেন বিএনপি মহাসচিব। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে যে কথার লড়াই চলছে প্রধান দুই দলের মধ্যে, তার ধারাবাহিকতায় শনিবার ঢাকায় সমাবেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, ফখরুল ‘টাকার বস্তার ওপর শুয়ে চাঙা হয়ে গেছেন’। খবর বিডিনিউজ।
রংপুরে সমাবেশ করে ফিরে গতকাল রোববার দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের ওই কথার জবাব দেন ফখরুল। তিনি বলেন, গতকাল (শনিবার) কতগুলো আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। সমস্ত নৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে তিনি কথাগুলো বলেছেন এবং আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন। সেই আক্রমণে তিনি বলেছেন, আমরা নাকি দুবাই থেকে টাকা পাই আর আমি নাকি টাকার ওপর শুয়ে আছি। দিস ইজ ভেরি আনফরচুনেট। আমরা আশা করি না এত বড় রাজনৈতিক দলের একজন সাধারণ সম্পাদক, তার মুখ থেকে এই ধরনের অশালীন এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে আক্রমণ আসবে।
ক্ষমতাসীন দলটির নেতাকে হুঁশিয়ার করে ফখরুল বলেন, আমি ওবায়দুল কাদের সাহেবকে শুধু এইটুকু বলতে চাই, অযথা বেশি ঘাঁটাবেন না। কাদা থেকে কিন্তু কেঁচো বেরিয়ে আসে কাদা ঘাঁটতে গেলে। আপনারা কী করেন না করেন, গোটা বাংলাদেশের মানুষ জানে। কীভাবে অর্থ উপার্জন করেন সবাই জানে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে আক্রমণ করলে সামাল দিতে পারবেন না। কার কোথায় কত বাড়ি ঘর আছে, কত টাকা সরিয়েছেন, কীভাবে সরিয়েছেন, কীভাবে নিয়ে গেছেন, সব এদেশের মানুষ জানে এবং তা প্রকাশিত হবে।
ফখরুল বলেন, আপনাদের কে কোথায় হাজার হাজার কোটি টাকার বাড়ি করছেন, কে কোথায় ব্যাংকের লোন নিয়ে পাচার করে দিচ্ছেন, আপনার সেই কানাডাতে বেগম পাড়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম করছেন, এগুলো বাংলাদেশের মানুষ সব খবর রাখে।
৪৩ কোটি টাকা দিয়ে আপনারা সচিবদের বাড়ি তৈরি করতে চান। কার টাকা? এই দেশের মানুষের টাকা, এদেশের মানুষের ট্যাক্সের পয়সা। অযথা বেশি ঘাঁটাবেন না, কাদা থেকে কেঁচো বেরিয়ে যাবে, বলেন বিএনপি মহাসচিব।
এ সময় বিএনপি কারও পয়সায় রাজনীতি করে না মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আমরা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করি, আমরা কারও পয়সায় রাজনীতি করি না। আমাদের দলের মানুষেরা প্রত্যেকটি সদস্য তারা নিজেরা চাঁদা দিয়ে এই যে দেখছেন প্রতিটি অনুষ্ঠান, প্রত্যেকে নিজেরা নিজেদের পয়সা দিয়ে তারা এই সমস্ত সমাবেশ করছে, জনগণের কাছে দাঁড়াচ্ছেন- এটাই হচ্ছে আমাদের বৈশিষ্ট্য।
৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপযাপনে দল ও সহযোগী সংগঠনের এক যৌথ সভার পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপি মহাসচিব।
এতে আমানউল্লাহ আমান, খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর নেওয়াজ আলী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, আবদুস সাত্তার পাটোয়োরি, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।