বোয়ালখালীর পশ্চিম গোমদন্ডী আরাকান সড়কের আমতল এলাকায় নৌকা প্রতীকের অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এজন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ বিএনপিকে দায়ী করেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পৌর প্যানেল মেয়র শাহজাদা এসএম মিজানুর রহমান জানান, আমতল নির্বাচনী অফিসে আমরা আমাদের প্রার্থী মোছলেম ভাইয়ের নির্বাচনী প্রচারণায় শুক্রবার পশ্চিম গোমদন্ডী জনসভার প্রস্তুতি সভায় অংশ নিয়েছিলাম। হঠাৎ ৮:৪৫ এর দিকে কালুরঘাট থেকে ৮-১০টি মোটরসাইকেল গোমদন্ডী ফুলতলমুখী যাওয়ার পথে নৌকার নির্বাচনী অফিসকে লক্ষ্য করে অন্ততঃ ৮টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং অফিসে সামনে দাঁড়ানো মোটর সাইকেল চট্টমেট্রো হ ১৩-১৭৯৩ এ অগ্নিসংযোগ করে। এসময় অফিসে থাকা দলীয় নেতা কর্মীরা হতভম্ব হয়ে যায়। সবাই এদিক এদিক ছুটাছুটি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা ঘটার সাথে সাথে মোটর সাইকেলগুলো ফুলতলের দিকে চলে যায়। পরে স্থানীয় ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মোটর সাইকেলের আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও এটির অনেকটা ক্ষতি হয়। এ সময় দুইটি অবিস্ফোরিত ককটেল অফিসের সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এঘটনার পর স্থানীয় ও উপজেলা আ.লীগের কয়েকশ নেতা কর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম জানান, দুবৃর্ত্তরা জিয়ার সৈনিক-এক হও, দেশ গড় ¯েøাগান দিতে দিতে আমাদের আমতল নির্বাচনী অফিসের সামনে আসলে অন্ততঃ ৮টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তিনি বলেন, তারা অফিস থেকে কিছুদুর গিয়ে নতুন রাস্তার মাথা দারুল আনছার মাদ্রাসা রোড দিয়ে পালিয়ে যায়। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী বোয়ালখালী থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী জানান, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রæত পুলিশ ঘটনাস্থলে যাই। নৌকার অফিসের সামনে থেকে দু’টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া একটি বিস্ফোরিত ককটেলের আলামত জব্দ করা হয়েছে। আগুনে অনেকাংশে পুড়ে যাওয়া মোটর সাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে। অগ্নি সংযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ককটেলের আগুনে মোটর সাইকেলে আগুন ধরে যেতে পারে। তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
