বোয়ালখালীতে আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক

18

বোয়ালখালীতে ফসলি জমিগুলোতে আমন ধানের রোপণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কয়েকদিন বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বিল ভরা থাকায় কৃষকরা চারা রোপণে মগ্ন হয়ে পড়েছেন। সূত্রে জানা যায়, বোয়ালখালীতে আবাদি জমির পরিমান ছয় হাজার ৩শ ২৫ হেক্টর। গেল বছর আমন মৌসুমে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল চার হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। অর্জিত হয়েছে চার হাজার ৬৫০ হেক্টর। এবার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার হাজার ৬৫০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনার আশা করছেন। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্যবারের চেয়ে এবারের আমন চাষে সার ও কীট নাশককের দাম কম থাকায় মোটামুটি বেশির ভাগই জমি চাষ হচ্ছে। তবে মজুরী বেশি হওয়ায় খরচ বেশি পড়ছে। প্রকৃতি সহায় থাকলে ফলন ভালো হওয়ার আশা করছেন তারা। উপজেলার কধুরখীল, গোমদন্ডী, শাকপুরা, কানুনগোপাড়া, কড়লডেঙ্গা, সারোয়াতলী, পোপাদিয়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা মাঠে চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কধুরখীল এলাকার এলাকার কৃষক অপু দে জানান, এবার সারের দাম কম থাকায় কৃষকদের আমন চাষে আগ্রহী হয়েছেন। পাশাপাশি বাজারে ধান-চালের দামও বৃদ্ধি। আমন রোপণের ধুম পড়ায় বেড়ে গেছে কামলাদের কদর, বিভিন্ন হাট-বাজারে বেড়েছে কামলাদের ভিড়। কানুনগোপাড়া বিলে কাজ করা নেত্রকোণা জেলার কামলা যতিন্দ্র সরকার ও অনিল বর্মণ বলেন, আমনের ভরা মৌসুমে কামলাদের চাহিদা বেড়েছে। খেয়ে দেয়ে সর্বনিম্ন ৫শ টাকা মজুরি চলছে বলে জানান নেত্রকোনা জেলা থেকে কাজ করতে আসা কামলা দেলোওয়ার হোসেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিকুল্লা বলেন, এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া বর্তমানে সারের দাম হ্রাস হওয়ার কারণে উৎপাদন খরচও কমে যাবে।