বোলারদের নিয়ে গর্বিত কোচ, নাখোশ বাজে ব্যাটিংয়ে

11

অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের চিত্র অনেকটা পরিষ্কার স্কোরবোর্ডে তাকালেই। ব্যাটসম্যানদের বাজে পারফরম্যান্সে ভুগেছে দল, বোলাররা চেষ্টা করেছেন দলকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখতে। বোলারদের পারফরম্যান্সে খুবই খুশি রাসেল ডমিঙ্গো, বিরক্ত তিনি ব্যাটসম্যানদের আলগা শটের মহড়ায়। বাংলাদেশ কোচের মতে, বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যানের আত্মবিশ্বাস এখন তলানিতে। টেস্টের প্রথম দিনে প্রথম সেশনে ৪৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর সেখান থেকে আর উদ্ধার হয়নি দল। প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে গুটিয়ে যাওয়া দল কী আর ম্যাচে টিকতে পারে! বোলাররা তবু চেষ্টা করেছেন। ক্রমশ সহজ হয়ে আসা উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস আটকে রেখেছেন তারা ২৬৫ রানে। ব্যাটিং মুখ থুবড়ে পড়েছে দ্বিতীয় ইনিংসেও। টপ ও মিডল অর্ডার ব্যর্থ এবারও, ১০৯ রানের মধ্যে পড়েছে ৬ উইকেট। এরপর সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসান সোহানের ১২৩ রানের জুটিতে কিছুটা মুখ রক্ষা হয়। তবে শেষ ৪ উইকেট পড়ে যায় আবার ১৩ রানেই। জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৮৪ রান। এই পুঁজি নিয়েও বোলাররা লড়াই কম করেনি। সৈয়দ খালেদ আহমেদের দারুণ বোলিংয়ে ৯ রানে ৩ উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। পরে অবশ্য তারা দিন শেষ করে ৩ উইকেটে ৪৯ রানে। জয়ের জন্য চতুর্থ দিনে তাদের প্রয়োজন স্রেফ আর ৩৫ রান। তৃতীয় দিন শেষে বিশ্লেষণে বাংলাদেশের কোচের কণ্ঠেও উঠে এলো ব্যাটিং নিয়ে হতাশা। প্রথম ইনিংসে ৬ জন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন শূন্য রানে। তামিম ইকবালের মতো অভিজ্ঞ ওপেনার দুই ইনিংসেই থিতু হওয়ার পর আউট হয়েছেন আলগা শটে। বড় ভরসা লিটন দাস দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেছেন বাজে শট, একই ইনিংসে দেড়শ বল খেলার পর উইকেট বিলিয়ে এসেছেন তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। টানা ব্যর্থতার চক্রে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হকের ব্যাট কথা বলেনি এই টেস্টেও। সব মিলিয়ে ব্যাটিংয়ে দল আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগেছ বলে মনে করেন রাসেল ডমিঙ্গো।