বৈলতলীতে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

11

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

চন্দনাইশের শঙ্খ নদীর দুই পাশের অসহায় ও হতদরিদ্র গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার বাসস্থান, ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গত ৩ জুন বিকেলে বৈলতলী দ্বীপপাড়া এলাকায় শঙ্খ নদীর তীরে সহস্রাধিক জনসাধারাণ ব্যানার, ফেস্টুন, প্লে-কার্ড নিয়ে এ মানববন্ধনে ঘন্টাকাল ব্যাপী অবস্থান করেন তারা।
এ সময় স্থানীয় চাষী আবদুর রশিদ চৌধুরী (৭০) বলেন, এলাকার প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় তাদের ফসলি জমির উপর বালুর স্তূপ করায় তারা কোন ফসল ফলাতে পারছেন না। এভাবে তাদের লক্ষ লক্ষ টাকার ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শঙ্খ নদীর দু’পাড়ে। বালু উত্তোলনের ফলে তাদের জায়গা- জমি, মসজিদ, মন্দির, বৌদ্ধ বিহার, কবরস্থান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সরকারি নির্দেশে নদী শাসন ও সংরক্ষনের নামে বালু উত্তোলন করে রাখা হচ্ছে ফসলের উপর, ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষক। মনোরঞ্জন নাথ (৮০), জোসনা দেবী (৭২) বলেছেন, তাদের এ বয়সে ৪-৫ বার নদী ভাঙনের কবলে পড়ে সামান্য ভিটিতে বসবাস করছেন। নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালি উত্তোলনের ফলে আবার সে ভাঙনের কবলে পড়তে হবে বলে মনে করছেন তারা। সরকার তাদের ঘরবাড়ি রক্ষা করার জন্য কোটি কোটি টাকার বøক বসিয়েছেন। কিন্তু বালু উত্তোলনের ফলে ঐ বøকগুলো সরে নদীর তলে দেশে চলে যাচ্ছে। তারা এ ভাঙ্গনের কবল থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। এ বিষয়ে তারা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অবহিত করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে বক্তব্যে অভিযোগ তুলেন। বর্তমানে যেভাবে নদী থেকে বালুৃ উত্তোলন করা হচ্ছে। তাতে যে কোন সময় বৈলতলী দ¦ীপ পাড়ার শশ্মান মন্দির, ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
মানববন্ধনে নারী, পুরুষ, যুবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা শঙ্খ নদীর পাড়ে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, এডিশনাল পি.পি এড. নাছির উদ্দীন, ডাক্তার আবুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন বাহাদুর, নাজিম উদ্দীন ভূঁইয়া, মফিজুর রহমান বাহাদুর, মেম্বার জসিম উদ্দীন, আবদুল মালেক প্রমুখ।