বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ রাখার আহ্ববান জাপানের

11

টোকিও এবং এর আশেপাশের মানুষদের কম বিদ্যুৎ ব্যবহারের আহŸান জানিয়েছে জাপান সরকার। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করা অবস্থায় বিদ্যুতের সরবরাহে জটিলতা দেখা দিতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে। জাপানের অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় ধারণা করছে, সোমবার দেশটিতে বিদ্যুতের চাহিদা তীব্র হতে পারে। মানুষের উচিত অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুতের বাতি বন্ধ রাখা। কিন্তু হিটস্ট্রোক এড়াতে এয়ার কন্ডিশনারের ব্যবহার জারি রাখা যেতে পারে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে বিদ্যুৎ সংকটের বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন কর্মকর্তারা। রবিবার টোকিওর মধ্যাঞ্চলে তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে রাজধানীর উত্তরপশ্চিমের ইসেসাকি শহরে তা ছিল রেকর্ড ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জাপানে জুনে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। জুন মাসে জাপানে গ্রীষ্ম শুরু হয়। সাধারণত মাসজুড়ে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম থাকে।
এক বিবৃতিতে জাপানের অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, সোমবার দুপুরের পর টোকিও এবং আশেপাশের আটটি এলাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩.৭ শতাংশ কমে যেতে পারে। সরবরাহে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য ৩ শতাংশ বাফারকে প্রয়োজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। টোকিও সময় ১৫টা থেকে তিন ঘণ্টা অপ্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক বাতি না জ্বালাতে জনগণের প্রতি আহŸান জানিয়েছে সরকার। তবে এই সময় উপযুক্তভাবে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারের আহ্বানও জানানো হয়েছে।