বৃদ্ধা ফাতেমার মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিলেন ইউএনও

42

হাটহাজরী উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কাজির খিল এলাকার বাসিন্দা হতদরিদ্র ফাতেমা বেগম। যার কিনা জমি আছে, তবে বসতঘর নেই। তাইতো প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বছর খানেক আগে বৃদ্ধা ফাতেমা বেগম সরকারের কাছ থেকে একটি বসতঘর (মাথা গোঁজার ঠাঁই) পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই ঘরটি দখল করে খড়ের গুদাম বানিয়েছিলেন তার ভাতিজা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. রোকন। যে কিনা গত আট মাস ধরে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে ঘটনা জেনে উক্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে বৃদ্ধা ফাতেমার ঘরটি উদ্ধার করে তাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমিন। গত শনিবার উক্ত বৃদ্ধার ঘরটি দখল মুক্ত করার কথা স্বীকার করে ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, ছিপাতলী ইউনিয়নের সদস্য মো. রোকন বৃদ্ধা ফাতেমা বেগমের ঘরটি খড় রেখে দখল করেছিল। পুরো ঘরটি খড় দিয়ে ভরা ছিলা যাতে বৃদ্ধা চাইলেও আর উঠতে না পারেন এবং ঘরটি বসবাসের অযোগ্য থাকে। এক বছর পর ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে ঘটনা জেনে সেই ঘর থেকে খড় সরিয়ে তা বৃদ্ধা ফাতেমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইউএনও রুহুল আমিন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পে যাদের জমি আছে ঘর নেই তাদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া। সেই প্রকল্পের আওতায় বছর খানেক আগে উপজেলায় মোট ২৭২টি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এরমধ্যে বৃদ্ধা ফাতেমাকে একটি ঘর তৈরী করে দেওয়া হয়েছিল। অভিযান চলাকালে রোকনের বাবা মোহাম্মদ আলী পালিয়ে গেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।