বুস্টার ডোজ নেয়া সুইডেনের রাজা-রানী কোভিডে আক্রান্ত

14

পূর্বদেশ ডেস্ক

করোনা ভাইরাসের তিনটি ডোজ নেওয়ার পরও সুইডেনের রাজা ষোড়শ কার্ল গুস্তাফ ও রানী সিলভিয়ার কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাদের উপসর্গ মৃদু এবং তারা ভালো আছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সুইডিশ রাজপ্রাসাদ।
করোনা ভাইরাসের অতিসংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রনের ফলে দেশটিতে সংক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সুইডেনের স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর দেশটিতে ১১ হাজার ৫০৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল যা সুইডেনের দৈনিক রোগী বৃদ্ধির রেকর্ড।
দেশটির রাজপ্রাসাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনটি ডোজ নেওয়া রাজা ও রানীর পূর্ণ টিকা দেওয়া আছে এবং তাদের উগসর্গ মৃদু ও তারা ভালো আছেন।
রাজা কার্ল গুস্তাফ (৭৫) ও রানী সিলভিয়া (৭৮) উভয়েই স্বেচ্ছা আইসোলেশনে আছেন। তাদের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ হয়েছিল তাদের খুঁজে বের করার কাজ চলছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
রাজা কার্ল গুস্তাফের ভ‚মিকা মূলত আনুষ্ঠানিক। তিনি ১৯৭৩ সালে রাজা ষষ্ঠ গুস্তাফ অ্যাডলফের মৃত্যুর পর মাত্র ২৭ বছর বয়সে সুইডেনের রাষ্ট্রপ্রধান হন। তিনি সুইডেনের রাজাদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন কর আসছেন।
সিংহাসনের উত্তরাধিকারী তার বড় মেয়ে ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া ও তার স্বামী প্রিন্স ড্যানিয়েল গত বছরের মার্চে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃদু উপসর্গে ভুগে দু’জনেই পরে সুস্থ হয়ে উঠেন।
পুরো শরৎজুড়ে পরিস্থিতি ভালো থাকার পর সম্প্রতি সুইডেনে ফের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চার দিনে দেশটিতে ৪২ হাজার ৯৬৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ২০ জন মারা গেছেন।
শহরাঞ্চলগুলোতে ওমিক্রন দ্রæত ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা রাজধানী স্টকহোমের মতো এলাকায় ৫০ শতাংশ বা তার বেশি সংক্রমণের জন্য ওমিক্রনকে দায়ী করছেন। খবর বিডিনিউজের

গত মাসে জনসমাবেশের উপর সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এবং যারা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন তাদেরকে বাড়ি থেকেই কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।
সুইডেনে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিধিনিষেধ এখনও খুবই সীমিত আকারেই আছে। অন্যান্য দেশগুলোর মতো কড়া লকডাউনের মত পদক্ষেপ সুইডেন কখনও নেয়নি।
দেশটিতে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিবেশী নর্ডিক দেশগুলোর তুলনায় মাথাপিছু অনেক বেশি। প্রতিবেশী দেশগুলো মহামারীর প্রথম দিকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। তবে লকডাউনের মত পদক্ষেপ নেওয়া অনেক ইউরোপীয় দেশের তুলনায় সুইডেনে মৃত্যুর সংখ্যা কম।