বিয়েতে মাংস কম দেওয়ায় মারামারি, আহত ৮

25

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিয়েতে খাবার টেবিলে অতিরিক্ত মাংস না দেয়াকে কেন্দ্র করে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বর ও কনের মা-বাবাসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার মৌলভীর দোকান এলাকার নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার দুপুরে নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলার ছদাহা পূর্ব কাজীর পাড়া এলাকার কালা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহানের সাথে নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর চরওয়াবদা এলাকার (বর্তমানে চট্টগ্রামের চন্দনাইশের হাছনদন্ডী) জসিম উদ্দিন ফারুকের মেয়ে মুক্তা বেগমের বিয়ের খাবারের আয়োজন করা হয়। দুপুর ১২টা থেকে বর-কনে উভয় পক্ষের লোকজন কমিউনিটি সেন্টারে খাবার গ্রহণ শুরু করে। দুপুর দেড়টার সময় খাবার টেবিলে বর পক্ষের এক ব্যক্তিকে অতিরিক্ত মাংস এনে না দেওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়।
এই ঘটনায় আহতদের কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন কনের বাবা জসিম উদ্দিন ফারুক (৫০), কনের মা রাশেদা বেগম (৩৫), মামা বাবুল (৩০), বর মোহাম্মদ শাহজাহান (২৮), মানিক (২৮), হুমায়ুন (২০) ও মো. রফিক (৩০)।
ঘটনা সামলাতে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরে বর শাহজাহান নিজেও ঘটনাস্থলে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হন।
মেয়ের চাচা পরিচয় দেয়া আলাউদ্দিন বলেন, বিয়েতে বর পক্ষের ৩শ’ লোককে খাবারের কথা থাকলেও দুপুর দেড়টা পর্যন্ত (বর) তাদের চারশ’ জনেরও বেশি খাওয়ানো হয়। এসময় খাবার টেবিলে বর পক্ষের এক ব্যক্তিকে তৃতীয়বার অতিরিক্ত গরুর মাংস এনে না দেওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু করে। ঘটনা থামাতে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরে বর নিজে এসে মারামারিতে যোগ দেন।
ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘বিয়ের অনুষ্ঠানে মারামারির ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। যেহেতু অনুষ্ঠানের আগে বর-কনের আকদ হয়ে গেছে তাই আমিসহ গিয়ে বউ (কনে) নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিয়েতে মাংস কম দেওয়ার ব্যাপারে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।