বিষন্নতায় আক্রান্ত মানুষরা কেমন আছেন লকডাউনে

70

করোনাভাইরাস মহামারি এবং এর জেরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জারি করা লকডাউনের কারণে বেশ কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা। ব্রিটেনের ওয়াটফোর্ড শহরের লিটজি নট এবং অ্যাবার্ডিন শহরের শিক্ষার্থী বার্টি ক্যাম্পবেল ব্যাখ্যা করেছেন যে- এই লকডাউন তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কেমন প্রভাব ফেলেছে। লিটজি নট, বিষন্নতার সাথে বেঁচে থাকা একজন ২২ বছর বয়সী চিত্রকর। তাঁর মতে, আমার কাছে বিষন্নতা অনেকটা এমন, যেন আমার বিড়াল রডনি আমার বুকের ওপর বসে আছে। সে কিছু দিন আমার বুকের ওপর বসে থাকে এবং কোনো নড়াচড়া করে না। আমার বিড়াল অনেক ভারী কিন্তু এতোটাও না যে একে আমি বহন করতে পারবো না বা আমি আমার সাধারণ কাজগুলো করতে পারবো না। অনেকটা বাচ্চা কোলে নিয়ে থাকার মতো।
এটার কারণ হলো আমি উচ্চমাত্রার বিষন্নতা বা ডিপ্রেশনে আক্রান্ত। ডিপ্রেশনে ভোগা দিনগুলোতে আমি ছোট ছোট বিষয়ে কেঁদে ফেলি এবং মনে হয় জীবনে কোনো আশা নেই। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার এই অশান্ত সময়ে আমি অপেক্ষায় ছিলাম কবে এই বিষন্নতা আমার ওপর ভর করবে। এবং এই সপ্তাহে এটি শেষ পর্যন্ত হয়েছে। ডিপ্রেশন হলে মনে হয় সবকিছু আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং এই পরিস্থিতি থেকে পালানোর কোনো সাধ্য আমার নাই। আর এই না পারার অনুভূতি আমাকে আরও বেশি উদ্বিগ্ন আর হতাশাগ্রস্ত করে ফেলে। এই মহামারির প্রভাব কতোটা ভারী সেটা এই ডিপ্রেশন আঘাত হানার পর আমি বুঝতে পেরেছি। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে আমার জীবন অনেক বদলে গিয়েছে। অন্য অনেক মানুষের মতো আমিও এতদিন আশেপাশে যা ঘটছে সেই স্রোতের সাথে নিজেকে ভাসিয়ে নিয়েছি। কিন্তু এসব নিয়ে আমার মনে কি চলছে সেটা ভাবিনি।