বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে এভারকেয়ার হসপিটালের অনলাইন সভা

31

বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি এভারকেয়ার হসপিটালে অনলাইন প্যানেল আলোচনা সভার আয়োজন করে। এই বছরের থিম ‘আর অপেক্ষা নয়, হেপাটাইটিস প্রতিরোধের এখনই সময়’ এর আওতায় এভারকেয়ার হসপিটাল জনগণের মাঝে হেপাটাইটিস নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও বৃদ্ধির জন্য এই ভার্চ্যুয়াল ইভেন্ট এর আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসাল্টেন্ট এবং কো-অর্ডিনেটর ডা. মোহাম্মদ লুতফুল লতিফ চৌধুরী, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট এবং হাসপাতাল এর ডিরেক্টর অধ্যাপক ফারুক আহমেদ, এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকা’র গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের কনসাল্টেন্ট ডা. এস এম আলী হায়দার এবং সিএমসিএইচ-এর গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এরশাদ উদ্দিন আহমেদ ইভেন্টটিতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে চ্যানেল ২৪-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তালাত মামুন, ডিবিসি নিউজ এর এডিটর প্রণব সাহা, একাত্তর টিভি’র হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ অংশগ্রহণ করেন। সঞ্চালনা করেন এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার মেডিকেল সার্ভিস এর ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ।
প্রধান অতিথি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্যখাত দিন দিন উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জনগণের মধ্যে সচেতনতার হার বৃদ্ধি না করা গেলে হেপাটাইটিস এর মতো রোগ নির্মূল করা কঠিন হয়ে পড়বে। বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি মানুষ হেপাটাইটিসে আক্রান্ত, প্রায় ২০ হাজার রোগী এই রোগে মৃত্যুবরণ করছে এবং আক্রান্ত ১০ জন রোগীর ৯ জনই জানেন না যে তারা এই রোগে আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে নগরপিতা নয়, নগর সেবক হিসেবে আমি বলতে চাই ‘হেপাটাইটিস নিয়ে অপেক্ষা নয়’। জনমনে রোগের কারণ, করণীয় এবং প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির এখনই সময়।
বিশেষ অতিথি চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, হেপাটাইটিস নিয়ে যে জনগণের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে, তা স্পষ্ট। আমাদের দেশে এখন এমন মানুষ আছে যারা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। তাই জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা যারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছি, আমাদের কাজ হবে যার যার অবস্থান থেকে গণসচেতনতা সৃষ্টি করে হেপাটাইটিস নির্মূলে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আমি আশা করবো, দেশের সকলে সম্মিলিতভাবে এই ভাইরাস দমনে কাজ করবে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, নগরস্বাস্থ্য ঠিক রাখতে আমরা সর্বদা সচেষ্ট। সর্বস্তরের মানুষকে সেবা দিতে এবং সচেতনতা গড়ে তুলতে আমরা নিয়োজিত আছি। ডা. মোহাম্মদ লুতফুল লতিফ চৌধুরী বলেন, হেপাটাইটিস এমন একটি রোগ যা অদৃশ্য শত্রুর ন্যায়। যেহেতু আক্রান্ত অধিকাংশ মানুষ জানেই না যে তারা এই রোগে আক্রান্ত, তাই এর ভয়াবহতা আরও বেশি। সুতরাং, গোষ্ঠীগত, সমাজগত, সরকারি-বেসকারি ও স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
ডা. এস এম আলী হায়দার বলেন, বাংলাদেশের শতকরা ৪ শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিসে আক্রান্ত। চলমান করোনা মহামারীতেও হেপাটাইটিসের সংক্রমণ বন্ধ নেই। তাই করোনা সতর্কতা এবং প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম চলাকালেই হেপাটাইটিস নির্মূলের বিষয়ে জোর দিতে হবে। জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সঠিক পরীক্ষা, আক্রান্ত হলে চিকিৎসা এবং আক্রান্ত না হলে প্রতিষেধক নেওয়ারও কোন বিকল্প নেই। বিজ্ঞপ্তি