বিশ্বে রেকর্ড বৃদ্ধির পর এপ্রিলে সামান্য কমেছে খাদ্যের দাম

23

পূর্বদেশ ডেস্ক

মার্চ মাসে বিশ্বে খাদ্য মূল্য রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর এপ্রিলে কিছুটা কমেছে, তবে জটিল বাজার পরিস্থিতির কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকেই গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা -এফএও। রয়টার্স জানিয়েছে, গত এপ্রিলের খাদ্যমূল্যের যে সূচক এফএও প্রকাশ করেছে, তাতে গড় পয়েন্ট হয়েছে ১৫৮ দশমিক ৫। মার্চ মাসের গড় পয়েন্ট ছিল রেকর্ড ১৫৯ দশমিক ৭।
এফএও’র প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সিমো টোরেরো কুলেন বলেন, ‘সূচক সামান্য হ্রাস পাওয়ার খবর স্বস্তির, বিশেষ করে খাদ্য-ঘাটতিতে থাকা নিম্ন-আয়ের দেশগুলোর জন্য। কিন্তু তারপরও খাদ্যের দাম সাম্প্রতিক রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি রয়েছে। এটা চলমান কঠিন বাজার পরিস্থিতির কথাই বলছে এবং সবচেয়ে দুর্বল দেশগুলোর জন্য খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে’। এ বছরের মার্চের সঙ্গে তুলনা করলে এপ্রিলে খাবারের দাম কমলেও এক বছর আগের তুলনায় খাদ্যমূল্য বেড়েছে ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ, যার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে আতঙ্ক এবং সরবরাহ সঙ্কট।
খাদ্যশস্যের দাম মার্চে ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার পর এপ্রিলে দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। ভুট্টার দাম ৩ শতাংশ কমলেও এপ্রিলে গমের দাম দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে।
এফএও বলছে, যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেইনের বন্দরের কাজ বন্ধ থাকা এবং খাদ্যশস্য পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে উদ্বেগের কারণে গমের দাম বেড়েছে। যদিও ভারত থেকে বড় চালান এবং রাশিয়া থেকে প্রত্যাশার বেশি রপ্তানির কারণে সরবরাহে ততটা সঙ্কট হয়নি।
চাহিদা কমে পাম, সূর্যমূখী ও সয়াবিন তেলের দাম কমার কারণে এপ্রিলে উদ্ভিজ্জ তেলের দামের সূচক ৫ দশমিক ৭ শতাংশ নিচে নেমেছে। তবে চিনির দাম ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, মাংসের দাম ২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। দুগ্ধজাত পণ্যের সূচক দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। খবর বিডিনিউজের
এফএও তাদের নতুন প্রাক্কলনে বলেছে, ২০২২ সালের গম উৎপাদনের পরিমাণ হতে পারে ৭৮২ মিলিয়ন টন, যা আগের প্রাক্কলনের চেয়ে ২ মিলিয়ন টন কম। গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কমানোর মূল কারণ হল, যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেইনের গম উৎপাদন ২০ শতাংশ কমে যাওয়ার শঙ্কা। পাশাপাশি উত্তর আফ্রিকায় খরার কারণে মরক্কোতেও উৎপাদন কমতে পারে।
মার্চে সংস্থাটি সতর্ক করেছিল, ইউক্রেনের সংঘাতের ফলে খাদ্যের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে, যা অপুষ্টি বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করবে।