রাহুল দাশ নয়ন
পদ্মা সেতু নির্মাণের কারণে আওয়ামী লীগের তৃণমূলেও আনন্দের বন্যা বইছে। নেতাকর্মীরা এ অর্জনকে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার অর্জন হিসেবেই দেখছেন। যে অর্জনের উপর ভর করে দেশ অর্থনৈতিক, যোগাযোগ, শিল্প ও পর্যটনে অনেকদূর এগিয়ে যাবে। বিশ্বব্যাংক ও সরকার বিরোধী চক্রের সবধরনের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে এ সেতু নির্মাণের মধ্যদিয়ে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে অন্যচোখে দেখবে বলেই মনে করছেন তৃণমূলের নেতারা।
সাতকানিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ মোতালেব পূর্বদেশকে বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে অর্জনের শেষ নেই। দেশবাসীর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন সেটিই বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এই পদ্মা সেতু উদ্বোধন দেশের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কূটনীতিক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। জনগণের জন্য এ সেতু অনেক উপকারী হবে। ২১টি জেলার সাথে ঢাকাসহ সারাদেশের যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সৃষ্টি হচ্ছে। কৃষিজাত পণ্য, মৎস্য সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। ব্যবসায়ীরা পদ্মার ওপারে অর্থাৎ খুলনা অঞ্চলে ব্যবসা বাণিজ্যে ঝুঁকবেন। আমি নিজেও সেখানে ফ্যাক্টরি করবো। পদ্মার ওপারে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ হবে। গ্যাস পৌঁছে যাবে। তিন ঘন্টার স্থানে এখন ৫ মিনিটে সেতু পার হওয়া যাবে। এটা বড় ধরনের প্রাপ্তি। একটা সময় যমুনা নদীর ওপারে অবহেলিত ছিল। যমুনা সেতু হওয়ার পর বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে পদ্মার ওপারে অনুন্নত থাকলেও এ সেতুর কারণে পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। পুরো এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। সুন্দরবনে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে। বিদেশীরা সুন্দরবন দেখতে ভিড় করবে। চট্টগ্রাম বন্দরে যে চাপ সেটিও কমে যাবে। মোংলা বন্দরে গতি ফিরবে। যোগ্য প্রধানমন্ত্রীর হাতেই দেশ- তা এ সেতু নির্মাণের মধ্যদিয়ে প্রমাণিত হলো।
পটিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ পূর্বদেশকে বলেন, পদ্মা সেতু বাঙালিদের জন্য বড় প্রাপ্তি। এতদিন যেটি স্বপ্ন ছিল সেটি এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। পদ্মা সেতুর কারণে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। দেশবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতার কথা স্মরণ রাখবে। যোগাযোগ, পর্যটন, অথর্নীতি, শিল্পায়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে। দেশের সবগুলো বন্দরের সাথে নেটওয়ার্ক সৃষ্টি হবে। এদেশের যত বড় অর্জন সবগুলোর সাথেই আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা আছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্যদিয়েও তাই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেটি স্বপ্ন দেখে সেটি বাস্তবায়ন করেন।
হাটহাজারী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন নোমান পূর্বদেশকে বলেন, পদ্মা সেতু সারাদেশের জন্য বিশাল অর্জন। আওয়ামী লীগ দেশকে ভালোবাসে। যেটি অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে প্রাজ্ঞতা, যে দক্ষতা সেগুলোই ফুটে উঠেছে। এ সেতু নির্মাণের মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী সকল প্রশ্নের উর্ধ্বে উঠে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের যে দলগুলো আছে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই। দেশকে পিছিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করে এসেছে সবসময়। গুজব রটিয়েছে। সবগুলো কাজই করেছে নিজেদের স্বার্থে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থে পদ্মা সেতু করেছে। বিশ^ব্যাংক, ড. ইউনুসের সব চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু করেছে। নিজেদের টাকায় আমরা পদ্মা সেতু করেছি।
রাঙ্গুনিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আল তালুকদার বলেন, পদ্মা সেতু বাঙালি জাতির জন্য বিরাট একটি সফলতা। বিশ্ব দরবারে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছি আমরা। বাংলাদেশের নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধির দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। সবধরণের ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু করেছে। পদ্মা সেতু বাধাগ্রস্ত করতে রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করা হয়েছিল। বিএনপি ড. ইউনুসকে ব্যবহার করে এটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। সবগুলো বাধা ডিঙিয়ে আজ পদ্মা সেতু হয়েছে। পদ্মা সেতু না থাকায় ২১টি জেলার সাথে বিচ্ছিন্ন ছিল দেশ। এখন পদ্মা সেতুর মধ্যদিয়ে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। দেশবিরোধী চক্র যেটি পারবে না সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করে দেখিয়েছে।