বিশ্ববাসীর শান্তি কামনা করে আখেরি মোনাজাত

90

আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে আধ্যাত্ত্বিক সাধক ও মাইজভান্ডার দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা, গাউছুল আজম হযরত শাহ্ছুফী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ (ক.) মাইজভান্ডারীর ১১৩তম বার্ষিক ওরশ সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল বুধবার ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দরবার শরীফে মহাসমারোহে এটি অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে গাউছুল আজম হযরত শাহ্ছুফী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ (ক.) এর দর্শনের অনুসরণের মাধ্যমেই ইহকালীন ও পরকালীন শান্তি, মুক্তি ও মর্যাদা মিলবে বলে উল্লেখ করে বিশ্বে নিপীড়িত মানুষের কল্যাণ ও বিশ্ববাসীর শান্তি কামনা করা হয়।
আখেরি মোনাজাত পরিচালনায় অংশ নেন আঞ্জুমানে মোত্তাবিয়ানে গাউছে মাইজভান্ডারী শাহ্ এমদাদিয়ায় সাজ্জাদানশীন সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী, গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলে সৈয়দ ডা. দিদারুল হক মাইজভান্ডারী, গাউছিয়া রহমান মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন মাওলানা সৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গাউছিয়া মঈনিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী ও গাউছিয়া হক মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন সৈয়দ হাসান মাইজভান্ডারী।
গত সোমবার থেকে ৩ দিনব্যাপী এই ওরশের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে দিনে খতমে কোরআন, খতমে গাউছিয়া, নাতে মোস্তফা পরিবেশন, শানে গাউছিয়া পরিবেশন, মিলাদ মাহফিল, জিকির, ছেমা মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত হয়। ওরশের দ্বিতীয় দিন গত মঙ্গলবার গাউছুল আজম মাইজভান্ন্ডারী (ক.) এর রওজা শরীফে গোসল শরীফ ও গিলাফ চড়ানোর ব্যবস্থা করাসহ বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া ওরশে আগত ভক্ত-আশেকানরা মাইজভান্ডারের বিভিন্ন মঞ্জিলে সারিবদ্ধভাবে সাজ্জাদানশীনদের সাথে দেখা করেন। পরে মাজার সমূহ জেয়ারতের মাধ্যমে নিজদের মনোবাসনা পূরণে কোরআন তেলোয়াত ও জিকির করেন। এরপর মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে ফরিয়াদ জানান ভক্তরা। ওরশ উপলক্ষে হযরত আহমদ উল্লাহ (ক.) রওজাসহ অন্যান্য রওজা এবং মঞ্জিল গুলো আলোসজ্জা করা হয়। লাখো আশেক-ভক্তবৃন্দের পদচারণায় মুখরিত ছিল দরবার শরীফ। প্রতিবছরের মত এবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লক্ষ লক্ষ আশেকানে মাইজভান্ডারী ভক্ত ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে মাইজভান্ডারী ভক্তরা এসে উপস্থিত হন। ওরশে আগত লাখো লাখো আশেক, ভক্ত, মুরিদের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় একজন ম্যাজিস্টেটসহ ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার, স্ব-স্ব মঞ্জিলের স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ওরশ শরীফে ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারণের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরধারীর মধ্যে রাখা হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে নাজিরহাট থেকে মাইজভান্ডার দরবার শরীফ পর্যন্ত আসার রাস্তায় সার্বক্ষণিক লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হয়। ওরশ উপলক্ষে সমগ্র এলাকাজুড়ে গ্রামীণ মেলা বসে।