বিশ্বকাপের রেকর্ড বইয়ে নতুন রেকর্ড সাকিবের

26

২০০৬ এর শেষ দিকে অভিষেক হওয়া সাকিব এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন। ২০০৭ এ যখন প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন তখন সবেমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার হাতেখড়ি হয়েছে। তবে অল্প দিনের মাথায় বিশ্বে জানান দিয়েছিলেন নিজের আগমনী বার্তা। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের মাত্র আড়াই বছরের মাথায় বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডারের মুকুটটি পরে বসেন সদম্ভে। সেই যে এক নম্বর আসনে বসেছেন, এরপর ওঠা-নামা হলেও বলা যায় দীর্ঘদিন ধরে সেই রাজত্বের দাবিদার সাকিব একাই। দুই একবার শীর্ষ স্থান হারালেও অল্প দিনের মাথায় আবার ঠিকই ছিনিয়ে নিয়েছেন। যেন রাজা ফিরেছেন সিংহাসনে। ২০১১ সালে নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ আসার আগেই জানান দেন তিনি কতটা কার্যকরী। ব্যাট-বলে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে থাকেন। নিজের দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে এক নম্বর অবস্থানে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দেন সেবার। ২০১৫ বিশ্বকাপেও তাই। এর মাঝে একবার দুইয়ে নেমে আসলেও বিশ্বকাপের অনেক আগেই আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের এক নম্বর অলরাউন্ডারের জায়গাটি পুনরুদ্ধার করে নিয়েছিলেন।
তবে মনে হচ্ছিল ২০১৯ বিশ্বকাপটা এক নম্বরে থেকে আর শুরু করা হবে না তার। ইনজুরির কারণে বেশ কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারেননি। তাতে র‌্যাংকিংয়ে এক নম্বরে চলে আসার সুযোগটা কাজে লাগিয়েছিলেন আফগানিস্তানের রশিদ খান। আফগান তারকার কাছে ওয়ানডের শীর্ষ স্থান হারালেও বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে তা ফিরে পান টাইগার সহ-অধিনায়ক সাকিব। ২২ মে প্রকাশিত আইসিসির নতুন র‌্যাংকিংয়ে রশিদ খানকে পেছনে ফেলে আবার শীর্ষস্থান দখল করে বসেন। এরই মধ্য দিয়ে রেকর্ড বুকে নতুন একটি রেকর্ড স্থাপন করতে যাচ্ছেন এই বাঁহাতি। প্রথম কোনো অলরাউন্ডার হিসেবে টানা তিন বিশ্বকাপ র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ অবস্থানে থেকে খেলতে যাচ্ছেন সাকিব। এর আগে কোনো ক্রিকেটারই এমন কীর্তিতে নাম লেখাতে পারেননি।