বিল্পবী মহেশ বড়ুয়ার আত্মদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে

9

চন্দনাইশ সাতবাড়ীয়ার কৃতিসন্তান, ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিপ্লবী মহেশ চন্দ্র বড়ুয়ার ৮৪ তম মৃত্যুদিবস স্মরণে ভার্চুয়ালে আলোচনা ২৬ জুলাই রাতে চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র (সিএইচআরসি) এর সভাপতি ইতিহাসবেত্তা সোহেল ফখরুদ-দীনের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক আবদুল আলীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যজন মাস্টার হুমায়ূন কবির, অধ্যাপক জিতেন্দ্র লাল বড়ুয়া, লেখক ও কবি সাফাত বিন সানাউল্লাহ, শান্তিকুর বিহারের উপাধ্যক্ষ ভদন্ত বিনয়মিত্র ভিক্ষু প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেছেন বিপ্লবীদের মৃত্যু নেই। তাঁরা কর্মের মাঝে অজীবন বেঁছে থাকেন। মহাবিপ্লবী মহেশ চন্দ্র বড়ুয়া তেমনই একজন। দেশেপ্রেমে তিনি নিজে বিলিয়ে দিয়ে প্রান বিসর্জন দিয়েছেন। এই জন্য আমরা চট্টগ্রামবাসী গর্বিত। বক্তারা আরো বলেছেন, বিপ্লবী মহেশ চন্দ্র বড়ুয়া চন্দনাইশের সাতবাড়ীয়ার কৃতি পুরুষ। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা। দেশপ্রেমের কারনে জীবনের প্রায় সময় জেলের অন্ধকারে কেটেছে। ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রামের কৃতিপুরুষ বিপ্লবী মহেশ চন্দ্র বড়ুয়ার আত্মদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের কারনে আন্দামান সেলুলার জেলে বন্ধি ছিলেন অনেক দিন। মহেশ চন্দ্র বড়ুয়ার পিতার নাম গৌরকিশোর বড়ুয়া। মহেশচন্দ্র বড়ুয়ার জন্ম ১৯০৩ সালে সাতবাড়ীয়া বেপারী পাড়ায়। পড়াশুনা স্থানীয় স্কুলে। ১৯২১ সালে তিনি অসহযোগ আন্দোলনে যোগদেন। আন্দোলন শেষে তিনি গুপ্ত বিপ্লবীদলের সদস্য হিসেবে কাজ করেন। ১৯৩০ সালে তিনি আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৩৩ সালে বাতুয়া রাজনৈতিক ডাকাতি মামলায় জড়িত থাকার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হন। ওই সময় তাঁকে গ্রেফতার করে নির্জন সাগরপথে ভারতের আন্দমান জেলে পাঠানো হয়। কিছুদিন পরে তাঁকে দেশে আনা হয়। দেশে এনে তাঁকে রাজশাহীর সেন্ট্রাল জেলে রাখা হয়। কারাগারে নির্জন সেলে এই বিপ্লবী অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃটিশদের অত্যাচারে শরীর ক্ষত বিক্ষত হয়ে যায়। দেশের জন্য মাতৃভুমির জন্য তবুও সোচ্ছার ছিলেন এই বিপ্লবী। অবশেষে ১৯৩৭ সালে ২৬ জুলাই কারাগারের অন্ধকারে তাঁর মৃত্যু হয়।