বিরোধী নেতাদের পরামর্শ চাইলেন মোদি

13

আজ রাত ৯টায়, ৯ মিনিট আলো নিবিয়ে মোমবাতি-টর্চ জ্বালানোর জন্য ভারতবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। এবার দেশটিতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিদের ফোন দিয়ে পরামর্শ চাইলেন মোদি। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন মোদি। কথা হয়েছে কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, রবিবার প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং প্রতিভা পাতিলকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দেশে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, চিকিৎসা পরিস্থিতি, লকডাউনসহ যাবতীয় বিষয় নিয়ে দুই সাবেক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেছেন মোদি। পাশপাশি দেশে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের আরও কী কী করা উচিত, সে বিষয়ে দুই সাবেক রাষ্ট্রপতির পরামর্শ ও মতামতও চেয়েছেন তিনি। সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং এইচ ডি দেবগৌড়ার সঙ্গেও একই ভাবে কথা বলেছেন এবং মতামত চেয়েছেন মোদি। শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মোদি। সেদিন ৯ মুখ্যমন্ত্রী যোগ দিয়েছিলেন বৈঠকে। রবিবার আরও এক ধাপ এগিয়ে বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দলের প্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন মোদি। তালিকায় ছিলেন সনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুলায়ম সিংহ যাদব, অখিলেশ যাদব, নবীন পট্টনায়ক, কে চন্দ্রশেখর রাও, এম কে স্তালিন, প্রকাশ সিংহ বাদলের মতো নেতারা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যগুলিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও নিয়ন্ত্রণ, লকডাউনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশে আগেভাগে লকডাউন ঘোষণা করে প্রশংসা কুড়োলেও ব্যাপক হারে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ব্যবস্থা না করা, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর অভাব, চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা, মাস্ক-স্যানিটাইজারের অপ্রতুলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। এই পরিস্থিতিতে মোদির এই ফোন-রাজনীতি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।