বিরোধীদলীয় নেতা ফেলিক্স শিসেকেদিকে জয়ী ঘোষণা

31

মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অভাবনীয় জয় পেয়েছেন বিরোধীদলের নেতা ফেলিক্স শিসেকেদি। গত মাসের শেষ সপ্তাহে হওয়া ভোটে তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মার্টিন ফায়ুলুকে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।
ভোট গণনা শেষে বৃহস্পতিবার দেশটির নির্বাচন কমিশনের প্রধান কর্নেলি নাঙ্গা ইউনিয়ন ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড সোশাল প্রোগ্রেস পার্টির নেতা শিসেকেদিকে বিজয়ী ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এক কোটি ৮০ লাখ ভোটারের মধ্যে ৩৮ দশমিক ৫৭ শতাংশের সমর্থন পেয়ে বিরোধীদলীয় এ নেতা জয়ী হয়েছেন।
নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ফায়ুলু পেয়েছেন প্রায় ৬৪ লাখ ভোট। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলা সমর্থিত ইমানুয়েল শ্যাডারি হয়েছেন তৃতীয়, পেয়েছেন মাত্র ৪৪ লাখ ভোটারের সমর্থন। সাংবিধানিক আদালত নির্বাচন কমিশনের এ ফল মেনে নিলে কঙ্গোতে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের দৃশ্য দেখা যাবে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
সংবিধানের কারণে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলা এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। ভোটের ফলকে ঘিরে সম্ভাব্য সহিংসতা মোকাবেলায় কঙ্গোজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। এবারের এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আরও দুই বছর আগেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোটারদের নিবন্ধন কাজে সময় লাগবে জানিয়ে নির্বাচন কমিশন ভোট পিছিয়ে দিয়েছিল। ফলাফল ঘোষণার পর শিসেকেদি যে অঞ্চলে বসবাস করেন সেই কিনশাসা অঞ্চলে দেখা যায় হাজারো সমর্থকের উল্লাস। ইউনিয়ন ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড সোশাল প্রোগ্রেস পার্টির সদরদপ্তরে নেচে গেয়ে নেতাকর্মীরা অভাবিত এ জয় উদযাপন করেছেন।
“আমি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রেসিডেন্ট হব না, নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীরও প্রেসিডেন্ট হব না, আমি হব সমগ্র কঙ্গোবাসীর প্রেসিডেন্ট,” উল্লসিত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন শিসেকেদি। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্টিন ফায়ুলু। তিনি বলেছেন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শিসেকেদিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। “ব্যালটের সত্যর সঙ্গে ফলাফলের কোনো ধরনের মিল নেই,” রেডিও ফ্রান্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন ফায়ুলু। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সত্যিকারের ফলাফল প্রকাশেরও আহব্বান জানিয়েছেন তিনি।