বিভাগীয় বিনিয়োগ ও ব্যবসায় উন্নয়ন সহায়তা কমিটির সভা

27

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অধীন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিনিয়োগ ও ব্যবসায় উন্নয়ন সহায়তা কমিটির ৪র্থ সভা ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। দেশে বেসরকারী খাতে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা, বিনিয়োগে সহায়তা প্রদান ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রী পরিষদ কর্তৃক গঠিত এ কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ এনডিসি। তৃতীয় সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইয়াছিন। জুম অ্যাপে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন কমিটির সদস্য পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান (চট্টগ্রাম), মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান (ফেনী), মোহাম্মদ কামরুল হাসান (কুমিল্লা), প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস (খাগড়াছড়ি), মোহাম্মদ খোরশেদ আলম (নোয়াখালী), হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি (বান্দরবান), অঞ্জনা খান মজলিশ (চাঁদপুর), মোহাম্মদ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ (লক্ষীপুর), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (রাঙ্গামাটি), মোঃ মামুনুর রশীদ (কক্সবাজার), বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মোঃ ইফতেখার আহমদ, উইম্যান চেম্বারের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, সাংবাদিক রনজিত কুমার শীলসহ বিভিন্ন উদ্যেক্তা ও শিল্পমালিকগণ। সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে যে সকল উদ্যোক্তা ও শিল্প মালিক উপকৃত হওয়ার কথা কিন্তু এখনো প্যাকেজের আওতায় আসতে পারেননি তাদের বিষয়টি অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে তদারকি করবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ তথা চেম্বার সমূহের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে যাতে প্রণোদনা প্যাকেজের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে কার্যক্রম গ্রহন করা যায়। প্রণোদনা প্যাকেজের বিষয়ে বিভাগীয় প্রশাসন, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও ব্যাংক সমূহের ভূমিকা পর্যালোচনার জন্য সেমিনারের আয়োজন করতে চেম্বারকে ভূমিকা রাখতে হবে। চট্টগ্রাম বিভাগে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে অন্তরায় সমূহ নিরসন করে সরকারের পাশাপাশি সহযোগী সংস্থাসমূহকে আরো আন্তরিক ভূমিকার আহবান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, সরকারী সিদ্ধান্ত অনুসারে নতুন শিল্পস্থাপনকারীগণ কৃষি জমিতে যাতে শিল্পস্থাপন পরিহার করেন সে লক্ষ্যে অবহিতকরণ ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম গ্রহন করতে হবে। জেলা প্রশাসকগণ স্থানীয় চেম্বারের সহায়তায় নবীন শিল্প মালিকগণের অনুকুলে বিসিক শিল্প শিল্পনগরী ও অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে জমি বরাদ্দ প্রদানের কার্যক্রম গ্রহন করতে হবে। শিল্প স্থাপনের জন্য লাইসেন্স প্রদানকারী সহযোগী সংস্থাসমূহকে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাগণের জন্য হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।