বিপিএল আয়োজন নিয়ে ভাবাচ্ছে করোনা

3

 

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবশেষ আসর বসেছিল ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। এরপর মহামারী করোনা লন্ডভন্ড করে দেয় ক্রিকেট সহ পুরো বিশ্বকে। দীর্ঘসময় বন্ধ থাকার পর করোনা প্রকোপ মাথায় নিয়েই নিয়মিত হয়েছে মাঠের ক্রিকেট। একটা সময় পর বাংলাদেশও খেলায় ফিরেছে। ঘরের মাঠে সফলভাবে আয়োজন করেছে কয়েকটি সিরিজ। তবে ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক আসর বিপিএল আয়োজন করতে এখনও ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। আসলে বিসিবিকে ভাবাচ্ছে বিদেশি খেলোয়াড়। করোনা প্রকোপে তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে শঙ্কায় বোর্ড। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিপিএল নিয়ে সঠিক কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বিসিবি।
তবে তাদের চাওয়া আগামী বছরের শুরুর দিকেই বিপিএলের পরবর্তী আসর আয়োজন করা। সেক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে গত মৌসুমের মত দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজন করা হতে পারে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা তো খেলতেই পারি। কিন্তু বাইরে থেকে যদি ভালো খেলোয়াড় না আনতে পারি তাহলে তো এটাকে বিপিএল বলা যাবে না।’
২০১৮ সালের পর আর মাঠে গড়ায়নি বিপিএল। ২০১৯ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে বিশেষ বিপিএল চালু করে বিসিবি। ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারী শেষ হওয়া আসরটি ফ্রাঞ্চাইজি বাদ দিয়ে দলগুলোর স্পন্সর নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর টানা দুই বছর হচ্ছে না ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টটি। অবশ্য নতুন ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে ২০২২ ও ২০২৩ সালে বিপিএল রাখা হয়েছে। ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াতে পারে বিপিএলের অষ্টম আসর। তবে সবকিছু নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর!