বিনোদন পার্ক খুলে দেওয়ার আহŸান বাপা সভাপতির

6

 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশের পর্যটন ও বিনোদন পার্কগুলো বন্ধ। এ খাতের বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সহ সরকারি কোষাগারে আয়কর, মূসক ও অন্যান্য কর বাবদ বিপুল রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব এমিউজমেন্ট পার্কস এন্ড এট্রাকশনস (বাপা)। ২০২০ সালে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ১ম ধাপের কারণে সরকারি সিদ্ধান্তে বিনোদন পার্কগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিকভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মানবিক কারণে বিনোদন পার্কসমূহের শ্রমিক, কর্মচারি ও কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা সময়মতো পরিশোধ করা হয়েছে। ২০২১ সালের করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয়ধাপের ফলে দেশের সকল বিনোদন পার্কসমূহ সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ রয়েছে। ফলে এ খাতটি পুনরায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকায় রাইডস ও যন্ত্রসমূহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য ব্যবসা খাতের ন্যায় বিনোদন পার্ক খুলে না দিলে প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। প্রায় ২ বছরের মতো সময় ধরে বিনোদন পার্কসমূহ বন্ধ থাকার কারণে এই খাতটির খুবই দূরবস্থা। যার ফলে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারি ও কর্মকর্তাদের অনেক ক্ষেত্রে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না বিধায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
অন্যান্য অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন স্থানের সাথে তুলনা করে বিনোদন পার্ক খাতটি খোলার ব্যাপারে কোন প্রকার সরকারি সিদ্ধান্ত বা দিকনির্দেশনা এখনও দেয়া হয়নি। তাই এই খাতের সাথে জড়িত সকল উদ্যোক্তা, কর্মচারি ও কর্মকর্তা খুবই উৎকণ্ঠা ও অসহায় বোধ করছে। বিনোদন পার্ক খাত মুখ থুবড়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় অন্যান্য খাত যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হয়, অনুরূপভাবে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর করোনাকালীন এস.ও.পি. মেনে ধারণক্ষমতার ৫০% দর্শণার্থী নিয়ে পার্ক পরিচালনা করার অনুমতি প্রদানের জন্য বাপা সভাপতি শাহরিয়ার কামাল অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, বদ্ধ স্থানের তুলনায় উন্মুক্ত ও খোলামেলা পরিবেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা কম থাকে। যেহেতু পার্কগুলো বিশাল এলাকাজুড়ে স্থাপিত, তাই সামজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব। করোনাভাইরাসের মধ্যেও জীবন-জীবিকার জন্য অন্যান্য খাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও এই বিনোদন পার্ক খাত নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। যদিও পার্কগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানা খুবই সহজ।
বাপা সভাপতি চলমান লকডাউন শেষে ১১ আগস্ট হতে অন্যান্য খাতের ন্যায় বিনোদন পার্কগুলো খুলে দেওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানান। বিজ্ঞপ্তি