বিনা ভোটের অমার্যাদাকর পদ ছেড়ে দিচ্ছেন হাফিজুর রহমান

42

সিজেকেএস নির্বাচনে সহসভাপতি পদে তাঁর দাখিলকৃত মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করেছেন সহসভাপতি পদপ্রার্থী মো. হাফিজুর রহমান। একই সাথে ইলেকশন বাদ দিয়ে সিলেকশনের মাধ্যমে পাওয়া অমার্যাদাকর পদ ধরে রাখার চেয়ে পুনঃতফসিলের আলোকে মর্যাদা নিয়ে একজন প্রকৃত ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে কাউন্সিলরদের রায়ে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য সিজেকেএস বাউন্সিলরদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। গতকাল সিজেকেএস কাউন্সিলরদের কাছে পাঠানো এক খোলা চিঠিতে তিনি সিটি মেয়রের সাথে মত বিনিময় সভার সিদ্ধান্তের আলোকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পদে ২২টি মনোনয়নপত্র পূরণ করে পে-অর্ডার সহ যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনারের নিকট দাখিল করার পর আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় তোলার পর ব্যক্তিগত আক্রমনে হতাশা প্রকাশ করেন।
সিজেকেএস নির্বাচনে দু’জন ছাড়া বাকি সব প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র সিটি মেয়র বরাবরে জমা দেওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে নির্বাচন নিয়ে বর্তমানে যে আলোচনা, সমালোচনা চলছে তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য তিনি কয়েকটি সুস্পষ্ট প্রস্তাব পেশ করেন। জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র গুলো আজ বিকাল ৫ টার মধ্যে প্রত্যাহার অথবা উক্ত তারিখের পর সবাইকে পদত্যাগ করার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানান এবং এ বিষয়ে আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। আগামীতে আ.জ.ম নাছির উদ্দীন সাধারণ সম্পাদক পদে আবারও বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হবেন উল্লেখ করে অন্যান্য সকল পদে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠিত হলে কারো কোন কথা থাকবে না বলে মত প্রকাশ করেন। তিনি সে নির্বাচনে সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করারও ঘোষণা দেন। নতুন তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে কারো মনে আর দু:খ বা ক্ষোভ থাকবে না। তখন যার যার পছন্দানুযায়ী পদে নির্বাচন করতে পারবেন। যা সিজেকেএসকে সুন্দরভাবে এবং বিতর্কের উর্ধ্বে থেকে পরিচালনা করা সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, আমার এ অনুরোধের পরেও কেউ যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার/পদত্যাগ না করলে শুণ্য হওয়া সহ-সভাপতি পদে পরবর্তীতে আমি নির্বাচন করব। সে নির্বাচনে যদি আমি বিজয়ী হই তাহলে একবার আলহামদুলিল্লাহ্, আর যদি পরাজিত হই তিনবার আলহামদুলিল্লাহ্।