বিধিনিষেধে উৎসব হারাচ্ছে ‘থার্টি ফার্স্ট’

13

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাশ্চাত্য রীতি ও সংস্কৃতির অংশ হলেও খ্রীস্টাব্দের বিদায় এবং বরণকে ঘিরে দেশেও উৎসবমুখরতায় শামিল হত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কিন্তু উৎসবের মধ্যে অপ্রীতিকর ও অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে বিধিনিষেধের ঘেরাটোপে বন্দি করেছে। উৎসবের নামে উদ্দাম ও শালীনতার সীমা বিবর্জিত আয়োজন ও অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিধিনিষেধের ঘেরাটোপে মলিন হয়েছে উৎসমুখরতা।
খ্রীস্টাব্দের শেষদিন ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কয়েকবছর আগেও দেশজুড়ে আয়োজন করা হত নানা অনুষ্ঠানের। বৃটিশ ঔপনিবেশের হাত ধরে বিনোদন কেন্দ্রসহ পাড়া-মহল্লায় নাচে-গানে খ্রীস্টাব্দের বিদায় ও বরণ করে নেয়ার প্রচলনও বাঙালি সংস্কৃতিতে শেকড় গেঁড়েছিল। কিন্তু কয়েক বছর আগে রাজধানী ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইটের উৎসবে নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনার পর হালের করোনার প্রাদুর্ভাব উৎসবমুখরতাকে মলিন করে দিয়েছে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র্রসৈকত ও দেশের পর্যটননগরী হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারে সম্প্রতি নারী পর্যটককে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনা ও অসাধু ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতাসহ নানা কারণে সেখানকার পর্যটন খাত ঘিরে চলছে অস্থিরতা। এমনকি থার্টি ফার্স্ট নাইটকে উপজীব্য করে এবার বৃহত্তম বেলাভ‚মিতে বাড়তি কোনও আয়োজনও নেই।
এদিকে, বন্দরনগরীতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজনের ওপর গত ৩০ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। অনুষ্ঠান আয়োজন ছাড়াও আরও অনেক কিছুই এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-পিআর) সাহাদাত হুসেন রাসেল পুলিশ কমিশনারের আদেশের বরাত দিয়ে জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইটেকে কেন্দ্র করে নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা ভেবে ১৬টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে সড়ক, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ ও প্রকাশ্য কোনও স্থানে উৎসব করা যাবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে অনুমোদিত স্থানে সভা-সমাবেশ এবং ধর্মীয় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে করোনা সংক্রান্ত সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। কোথাও কোনও ধরনের আতশবাজি ও পটকা ফাটানো যাবে না। ভবনের ছাদে পটকা ফাটানো হলে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নগর পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শনিবার সকাল দশটা পর্যন্ত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ও আনোয়ারার পারকি সৈকতে কাউকেই অবস্থান করতে দেয়া হবে না। আজ শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত লাইসেন্স করা সব বার ও মদের দোকান বন্ধ থাকবে। উচ্চস্বরে গাড়ির হর্ন বাজানো এবং বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। আনন্দ উদযাপনে সামাজিক অনুশাসন এবং সংস্কৃতিতে গ্রহণযোগ্য শালীনতা বজায় রাখতে হবে। মাদকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। মাদকাসক্ত অবস্থায় কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইনডোরে সব ধরনের অনুষ্ঠানে নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখতে হবে। আবাসিক হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোনও স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেয়া যাবে না। এছাড়া, গত বৃহস্পতিবার বিকাল চারটা থেকে আজ শনিবার সকাল দশটা পর্যন্ত লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহনেও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।
বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে কক্সবাজার সৈকতে ভিড়:
কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, গতকাল শুক্রবার ৩১ ডিসেম্বর ছিলো ২০২১ সালের শেষ দিন। এদিন সূর্যাস্ত দেখতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের ভিড় জমে যায়। প্রতিবার পুরাতন বছরকে বিদায় জানাতে সমুদ্র সৈকতে ছুটে আসেন পর্যটকরা।
কক্সবাজার প্রতিনিধির সরেজমিন প্রতিবেদনে জানা যায়, এবারও ২০২১ সালকে বিদায় ও ২০২২ সালকে বরণ করে নিতে সৈকতের বালিয়াড়িতে পর্যটকরা ছুটে এসেছেন। সৈকতের বালুচরে আসা কক্সবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আনাস মাহমুদ ও তার সঙ্গীরা জানান, বছরের বিদায়ী সূর্যাস্ত দেখতে আমরা বন্ধুরা মিলে বালিয়াড়িতে এসেছি। তাদের মতোই সৈকতে নেমে সূর্যাস্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ঢাকার উত্তরা থেকে আসা কুমকুম আকতার ও তার পরিবার। এমনিতেই সূর্যাস্ত ভালো লাগে- তার উপর আজকের সূর্যাস্ত বছরের শেষ দিনের। কেমন অনুভ‚তি হয় তার প্রতীক্ষা করছেন তারা।
এদিকে, করোনা মহামারি আর রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে বেশ কয়েক বছর থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন নিয়ে সৈকতের বালিয়াড়ি বা উন্মুক্ত কোন স্থানে অনুষ্ঠান হয়নি। এবারো কক্সবাজারে হচ্ছে না কোন আয়োজন। তবে, নিয়মরক্ষায় তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইজ, সায়মন বিচ রিসোর্ট, কক্স-টুডে এবং সী পার্ল বিচ রিসোর্ট এন্ড স্পা’র নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ইনডোর প্রোগ্রাম আয়োজন করছে। হোটেলের অতিথি, বিদেশী পর্যটক এবং বিশেষ মেহমান ব্যতিত এসব অনুষ্ঠানে অন্যদের শরীক হবার তেমন সুযোগ নেই।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিললুর রহমান বলেন, বিগত সময়ের অভিজ্ঞতায় এবারো বছরের শেষ দিনে লাখো পর্যটক উপস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বালিয়াড়ি ও সৈকতের আশপাশে টহল জোরদার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রতিবছর থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে পর্যটন নগরী কক্সবাজার লোকারণ্য হয়ে উঠে। বিগত দেড় দশক এমন চিত্রই দিয়েছে বালিয়াড়ি। এবারও থার্টি ফাস্ট এবং বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে কক্সবাজার সৈকত ও আশপাশের পর্যটন এলাকায় অতিথি ও স্থানীয় মিলিয়ে কয়েক লাখ পর্যটক সমাগম হবে এমনটি প্রত্যাশা। তবে, কোন আয়োজন না থাকায় এবারো থার্টি ফাস্ট নাইট বা নতুন বর্ষবরণকে ‘প্রাণহীন’ বলে উল্লেখ করেছেন পর্যটকরা।
কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, হোটেলগুলোতে এখনো কিছু রুম খালি আছে। তবে সপ্তাহিক ছুটি ও থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে অতীতের মতো পর্যটকে ভরে গেছে সৈকত। যদিও গত কয়েকদিনের একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় পর্যটন নিয়ে নেতিবাচক ধারণা পেয়েছে পর্যটকরা।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়াম্যান মুজিবুর রহমান জানান, দ্বীপের থার্টি ফাস্ট নাইটের কোন অনুষ্ঠান নেই। তবে, কয়েক হাজার পর্যটক নতুন বছরকে বরণে দ্বীপে অবস্থান করছেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, নানা কারণে সরকার এবারও ‘থার্টি ফাস্ট নাইটে’ ওপেন অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। তবে পর্যটকরা চাইলে গভীর রাত পর্যন্ত বিচে ঘুরতে পারবেন। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বেশ কয়েকটি টিম মাঠে থাকবে। কিন্তু রাত দশটার পর হোটেলের সব বার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ডিসি বলেন, কোন হোটেল-মোটেল ইনডোর প্রোগ্রামের জন্য জেলা প্রশাসনের অনুমতি নেয়নি। এরপরও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ইনডোর প্রোগ্রাম করলে নিরাপত্তার বিষয়টি সম্পূর্ণ তাদের নিজস্ব এখতিয়ার। কোথাও থেকে অপ্রীতিকর কোন ঘটনার অভিযোগ এলে হোটেলটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দু’মিনিটও চিন্তা করবে না প্রশাসন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনে কোন আতশবাজি, পটকা ফাটানো বা কোন উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না। পাশাপাশি রাত ১২টার পর উচ্চস্বরে কোন মাইক কিংবা সাউন্ড বাজানো নিষেধ। থার্টি ফাস্ট নাইট ও বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে জেলা পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা শুরু হয়ে অব্যাহত থাকবে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

পর্যটকে মুখর কাপ্তাই:
কাপ্তাই প্রতিনিধি জানান, নানা কারণে আলোচিত এই বছরটিকে বিদায় জানাতে দেশের পর্যটন স্পটগুলো ছিল মানুষে মুখরিত। অপরূপ সৌন্দর্য্যরে লীলাভ‚মি হিসেবে পরিচিত রাঙামাটি জেলাধীন কাপ্তাই উপজেলা। কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর সব স্পট। সবুজ পাহাড়, লেক, নদীসহ আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথ যে কোনো মানুষের মনকে আকর্ষণ করে সহজেই।
কাপ্তাই প্রতিনিধির সরেজমিন প্রতিবেদনে জানা যায়, বছরের শেষ দিন গতকাল শুক্রবার কাপ্তাইয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে অগণিত পর্যটকের আগমন ঘটেছে। পর্যটকের আনাগোনায় মুখরিত হয় কাপ্তাইয়ের সকল বিনোদন কেন্দ্রগুলো। হোটেল, রিসোর্ট, বিনোদন পার্ক- সবখানেই মানুষ আর মানুষ।
কাপ্তাইয়ের বালুরচর এলাকায় কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের গাঁ-ঘেঁষে অবস্থিত আকর্ষণীয় পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র ‘প্রশান্তি পার্ক’। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩ টায় সেখানে গিয়ে দেখা যায়, এই কেন্দ্রে হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এই বিনোদন কেন্দ্রে চট্টগ্রাম সদরঘাট এলাকা থেকে ঘুরতে আসা শীলা দাশ, নীল, তুলি জানান, তারা একসাথে ২০ জন বেড়াতে এসেছেন। কাপ্তাইয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখে মুগ্ধ তারা।
এই কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাসুদ তালুকদার জানান, আমাদের এই বিনোদন কেন্দ্রে আজ (শুক্রবার) হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটেছে। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
বিকাল সাড়ে ৩ টায় কাপ্তাই ওয়াগ্গা বিজিবি পরিচালিত প্যানোরোমা জুম রেস্তোরাঁয় গিয়ে দেখা যায়, সেখানেও শত শত পর্যটকের আনাগোনায় মুখরিত। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন বেড়াতে। তাদের একজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের শিক্ষার্থী ইমন। তিনি জানান, তারা ১০ জনের একটি টিম এখানে বছরের শেষ দিন উপভোগ করতে এসেছেন।
কর্ণফুলী নদীর ধারে অবস্থিত এই বিনোদন কেন্দ্রটি খুবই সুন্দর। এই বিনোদন পার্কে বেড়াতে আসা চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট থেকে শামীম দম্পতি এই প্রতিবেদককে জানান, প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যমন্ডিত কর্ণফুলী নদীর পাশে অবস্থিত এই বিনোদন স্পটে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া গেছে। যা তাদের ভ্রমণকে আনন্দদায়ক করেছে।
অন্যদিকে, কাপ্তাইয়ের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র কাপ্তাই নৌ-বাহিনী ঘাঁটি শহীদ মোয়াজ্জেম কর্তৃপক্ষ পরিচালিত লেক প্যারাডাইসে গিয়ে শত শত পর্যটক ভিড় করতে দেখা যায়।
এখানে ঘুরতে আসা রাঙামাটি শহরের হিমেল চাকমা, নবজ্যোতি তনচংগ্যা জানান, লেক প্যারাডাইস যেন একটি স্বর্গ। এখান থেকে একসাথে কাপ্তাই লেক এবং পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়।
উপজেলার বেসরকারি পর্যটন কেন্দ্র শিলছড়ির বনশ্রী পিকনিক স্পটের পরিচালক প্রকৌশলী রূবাইয়েত আক্তার চৌধুরী জানান, পর্যটন শহর কাপ্তাইয়ে প্রতিদিন ভ্রমণ পিঁপাসুদের আগমন ঘটছে। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কোনো রিসোর্ট খালি থাকে না।
শীলছড়ি এলাকার পাহাড়িকা পিকনিক স্পটের পরিচালক শামা সিদ্দিকী জানান, অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে কর্ণফুলী নদীর পাশে গড়ে ওঠা পিকনিক স্পটটিতে সারা বছরই কমবেশি পর্যটকের আনাগোনা রয়েছে। তবে বছর শেষে স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশি পর্যটক আসছে। এসময় কটেজ ও রেস্ট হাউজগুলো খালি থাকে না বলেও জানান তিনি।
এগুলো ছাড়াও সেনাবাহিনী পরিচালিত কাপ্তাইয়ের জীবতলী লেকশোর ও লেক প্যারাডাইসে প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের।
কাপ্তাই থানার ওসি মো. নাসির উদ্দীন জানান, কাপ্তাইয়ে অনেকগুলো বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রচুর পর্যটক আসছে। তাই থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সবসময় পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ সদস্যদের টহল আরো জোরদার করা হয়েছে।