বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিম্ন পর্যায়ে

18

রাঙামাটি ও কাপ্তাই প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে কাপ্তাই লেকের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। এভাবে পানি কমতে থাকলে রাঙামাটি জেলা সদরের সাথে নৌ যোগাযোগ অচিরেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। প্রতিবছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে লেকের পানি কমতে থাকে কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই কাপ্তাই লেকের পানি কমতে শুরু করছে। এভাবে পানি কমতে থাকলে মহা বিপদে পড়বে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর, বরকল, বিলাইছড়ি ও জুরাছড়ি উপজেলাবাসী।
গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (ভারপ্রাপ্ত) ব্যবস্থাপক ও নির্বাহী প্রকৌশলী জালাল উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, কাপ্তাই লেকে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার ফলে অত্র কেন্দ্রের ৫ টি ইউনিটের মধ্যে শুধুমাত্র ২নং ইউনিট হতে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এ কেন্দ্রের ১নং ইউনিটের মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে এবং যেকোন সময়ে এটি চালু করা হবে। তবে কাপ্তাই লেকের পানি স্বল্পতায় ১নং ইউনিট সহ ৩, ৪ ও ৫ নং ইউনিট চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত কাপ্তাই লেকে পানির পরিমাণ ছিল ৯০.০৯ ফুট মীন সী লেভল (এম,এস,এল)। লেকে রুল কার্ভ অনুযায়ী বর্তমানে পানি থাকার কথা ১০৬.৪ (এম,এস,এল) এবং কাপ্তাই লেকে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯(এস,এস,এল)।প্রসঙ্গত, ১৯৬২ সালে কাপ্তাই লেকের সৃষ্টি হয়। পানির উপর নির্ভরশীল কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রর ৫টি ইউনিট দিয়ে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। তবে বছরের এই মৌসুমে কাপ্তাই লেকে তীব্র পানির সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হবার পাশাপাশি নৌ চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে।