বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

4

আনোয়ারা ও রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

আনোয়ারায় নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ৩৩ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারে লেগে তার মৃত্যু হয়েছে। নির্মাণ শ্রমিকের নাম মো. ইমরান উদ্দীন (৫০)।
গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের বন্দর সেন্টার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইমরান নোয়াখালীর হাতিয়া থানার মৃত রবিউল হকের পুত্র। আনোয়ারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি দল তার মরদেহ উদ্বার করে। মরদেহটি কর্ণফুলী থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৈরাগ ইউনিয়নের বন্দর সেন্টার এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের পাশে আরব খাঁন মার্কেটে ছাদের সেন্টারিংয়ের কাজ করছিলেন ইমরান। এ সময় ভবনের পাশে বিদ্যুতের ৩৩ হাজার ভোল্টের মূল তারের সাথে লাগলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির উপ সহকারী পরিদর্শক আব্দুল ওয়াহাব জানান, খবর পেয়ে আমরা দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করি। মৃতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, ওই শ্রমিকের মরদেহ পুলিশের হেফাজতে আছে। তার স্বজনরা চাইলে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাঙ্গুনিয়া : রাঙ্গুনিয়ায় বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইমরান হোসেন (২৭) নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে মরিয়মনগর ইউনিয়নের বালুগোট্টা ছৈয়দ আহমদ সওদাগর বাড়ির নাজির শাহের নির্মাণাধীন ভবনে বিদুৎস্পৃষ্ট তিনি প্রথমে নিচে পড়ে যান। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল হকের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মরিয়মনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু বলেন, প্রবাসী নাজির শাহের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করছিলেন ইমরান হোসেন। এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী বৈদ্যুতিক লাইনে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যায় ইমরান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আরও তিনজন আহত হলেও প্রাথমিক চিকিৎসায় তারা সুস্থ হয়ে ওঠেন।