ঢাকা প্রতিনিধি
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে না। বিদ্যুৎ কেনার যথাযথ তথ্য না পাওয়া ও অস্বচ্ছতার কারণে মূল্যায়ন করতে না পারায় মূল্য বৃদ্ধির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কমিশন। ফলে বিদ্যুতের আগের দাম বহাল থাকছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিপরীতে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ আদেশ দিয়েছে বিইআরসি। সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, সরকার ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। এটি দিয়ে পিডিবি ঘাটতি সমন্বয় করতে পারছে। এসব বিবেচনা করেই কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিইআরসির সদস্য মকবুল ই ইলাহি, বজলুর রহমান, আবু ফারুক, মো. কামরুজ্জামান ও সচিব খলিলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান বলেন, পিডিবি গত ১২ জানুয়ারি বিদ্যুতের পাইকারি দাম পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব জমা দেয়। এরপর ১৮ মে তাদের প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি করা হয়েছে। সব পর্যালোচনা করে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে সভা করে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের প্রস্তাবের সব দিক বিবেচনা করে দাম পুনঃনির্ধারণ করা হলো না। আগের দামই থাকবে।
এর আগে গত ১৮ মে পিডিবির বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি করেছে কমিশন। নিয়ম অনুযায়ী গণশুনানির পর ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। গণশুনানির ৯০ কার্যদিবসের সময়সীমা শেষ হবে আজ ১৪ অক্টোবর। তাই গতকাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
গত ১৮ মে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বাড়াতে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে প্রায় ৬৬ শতাংশ দাম বাড়ানোর আবেদন করে পিডিবি। সে সময় ভর্তুকি ছাড়া ৫৮ শতাংশ দাম বাড়ানো এবং ভর্তুকি দিলে দাম না বাড়ানোর সুপারিশ করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। বিইআরসি সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দর ইউনিট প্রতি ৫ টাকা ১৭ পয়সা নির্ধারণ করে।
