বিদ্যানন্দ মা ও শিশু হাসপাতালের যাত্রা

58

দরিদ্র মানুষকে ‘এক টাকায়’ চিকিৎসা প্রদানের ব্রত নিয়ে গতকাল শুক্রবার বন্দর নগরী চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু করলো ‘বিদ্যানন্দ মা ও শিশু হাসপাতাল’। নগরীর পাহাড়তলীতে সাগরিকা রোডে আটতলা একটি ভবনে হাসাপাতালটি স্থাপন করছে স্বেচ্ছাসেবীমূলক প্রতিষ্ঠান ‘বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন’। প্রতি মাসে হাসপাতালটির আউটডোরে ১০ হাজার দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের সক্ষমতা অর্জন করার লক্ষ্যে বিদ্যানন্দ কাজ করে যাচ্ছে বলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এবং প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার একেএম তফাজ্জল হক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পরামর্শক ও নিউ ইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)’র ব্যুরো প্রধান জুলহাস আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বিদ্যানন্দ মানবতার সেবায় অনুকরণীয় দায়িত্ব পালন করছে। করোনার সংকট মোকাবেলায় তাদের স্থাপিত কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল একটি মাইলফলক হয়ে আছে। তিনি বলেন, দরিদ্র মানুষ যেন বিদ্যানন্দ হাসপাতালে বিনামূল্যে না হলেও খুবই স্বল্পমূল্যে সেবা পায় সেজন্য প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনটি বিদ্যানন্দকে প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, এমন উত্তম কাজে চট্টগ্রামবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে যেনো শ্রমজীবী মানুষ চিকিৎসা সেবা পায়।
চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, সিটি কর্পোরেশন থেকে সকল সহযোগিতা প্রদান করা হবে এই হাসপাতালের অগ্রযাত্রায়। তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বলেন, ‘বিদ্যানন্দ একটি কনসেপ্ট, একটি ধারণা। অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশ, সমতার বাংলাদেশ, দরিদ্র মানুষের এগিয়ে যাবার বাংলাদেশ, অবহেলিত শিশুদের যতœ পাবার অধিকারের বাংলাদেশ, উপযুক্ত শিক্ষা পাবার বাংলাদেশ, দুস্থ মায়েদের চিকিৎসা পাবার বাংলাদেশ, নিরন্ন মানুষের খাবার পাওয়ার অধিকারের বাংলাদেশের একটি ধারণাই হলো বিদ্যানন্দ।
জানা গেছে, করোনাকালীন জরুরি চিকিৎসা সেবায় ১০০ শয্যাবিশিষ্ট সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল’ ও ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবন খেয়া’-র অভিজ্ঞতা নিয়ে এ হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়েছে। ছিন্নমূল ও দরিদ্র মানুষের জন্য চিকিৎসা সেবার জন্য প্রিমিয়ার বিশ্ববিদযালয়ের ছাত্রী হোস্টেল হিসেবে ব্যবহৃত ভবনটিকে হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়। হাসপাতালটিতে প্রাথমিকভাবে আউটডোর সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। চলমান করোনা মহামারিতে আক্রান্তদের সহায়তা দিতে একটি পৃথক কোভিড ওয়ার্ডও রাখা হচ্ছে।