বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী এক গৌরবময় অধ্যায়

22

 

মুক্তি সংগ্রামের জয়ের ৫০বছর পূর্তি জাতির জন্য বিশাল এক অর্জন। নিরস্ত্র অসহায় বাঙালির উপর অসম এই যুদ্ধের বিজয় সত্যিই গর্বের। অন্যায়ের বিরুদ্ধে অটল এই নির্ভীক জাতির ঐক্য এনে দিয়েছিল অসামান্য বিজয়। এই বিজয় অমানবিক নির্যাতনও বর্বরতার বিরুদ্ধে। নিরীহ মানুষের উপর ওথ পেতে থাকা হিংস্র দানবের আক্রমণের বিরুদ্ধে। এই বিজয় নায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে। অনেক কষ্টের এই মহান গৌরব গাঁথা। লাখো শহীদের রক্ত, নির্মম অসহনীয় অকল্পনীয় নির্যাতন, বলিদান ত্যাগ তিতিক্ষা, লক্ষ নারীর উপর অবর্ণনীয় অত্যাচার, সম্ভ্রম, সিথির সিঁদুরের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্বের চেতনা এক অমিত তেজ। আত্ম উপলব্ধি জাগায় কোটি প্রাণে। কোনটি শাসন আর কোনটি শোষণ ও দুঃশাসন কে বুঝতে শেখায়। এই কষ্টার্জিত বিজয়কে বর্তমান প্রজন্মকে তুলে ধরতে ও জানাতে আরো মাঠ পর্যায়ের কাজ করতে হবে সরকার , সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও পরিবার সম্মিলিত ভাবে।
শুধু পতাকা উত্তোলন ,লাল সবুজের ব্যাজ বুকে ধারণ করে করলে হবেনা। বর্তমান প্রজন্মকে সর্বক্ষেত্রে সততা বজায়, দুর্নীতিবাজ ও যেকোনো অসঙ্গতি বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দেশ কে বিনষ্ট হবার থেকে রক্ষা করার গুরু দায়িত্ব হাতে নিতে হবে, সেই দীক্ষায় দীক্ষিত হবার সুযোগ ও পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আগামী প্রজন্ম যেন আরো দৃঢ় প্রত্যয়ী জাতি তে রূপান্তরিত হয় সেই রেশ ও আবহ তৈরি করতে এক্ষণই সময়।
বিশ্বের অন্যান্য দেশ যদি পারে তবে আমরা কেন নয়? সমস্ত অপশক্তির বিষ দাঁত ভাঙ্গতে হবে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে।
না হলে শহীদ ও বীরাঙ্গনা তাঁরাএই জাতিকে ক্ষমা করবেনা । মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করার জন্য এই মহৎ আত্মত্যাগ কোনোদিন ভুলবার নয়।
আজো অনেক শহীদ ও নির্যাতিতের ঘরে রয়েছে ক্রন্দন, কঠিন দীর্ঘশ্বাস, অব্যক্ত যন্ত্রণা।
সে খবর আমরা কেউ রাখিনা, শুনতে পাই না।
এই দেশ , এই মাটি, এই আকাশ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের। বিশ্বের দরবারে আজীবন মাথা উচুঁ করে দাঁড়াবে সংগ্রামী ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ জাতি হয়ে এই স্বপ্ন দেখি।