বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সৃজনশীলতাই মুখ্য : প্রফেসর ড. অনুপম সেন

39

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে পঞ্চমবারের মতো রানার আপ হয়েছে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সিনটেক্স অ্যারর টিম।
বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় নির্বাচিত ৪৫টি প্রকল্প নিয়ে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স-বাংলাদেশে সম্প্রতি দুইদিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সিনটেক্স অ্যারর টিমের সদস্যরা হলেন-প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী অভিষেক ধর, শুভ কর্মকার, সুস্ময় সেন গুপ্ত ও রিদওয়ান তাসমিয়াহ। তারা বিষাক্ত মাটি থেকে অক্সিজেন উৎপাদন করে পরিবেশে কার্বন ও অক্সিজেনের ভারসাম্য রক্ষার কৌশল উদ্ভাবন করেন।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় দেশের ৯টি শহর থেকে ৪ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী ৯ হাজার প্রকল্প নিয়ে অংশ নেন। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সিনটেক্স অ্যারর টিমসহ দু’টি টিম তাদের প্রকল্প নাসা স্পেসের ওপেন ডাটাবেজে জমা দেয়।
প্রতিযোগিতায় রানার আপ হওয়া সিনটেক্স অ্যারর টিম সোমবার সকাল ১১টায় নগরের প্রবর্তক মোড় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ভবনে উপাচার্য কার্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানী ও শিক্ষায় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
ড. অনুপম সেন বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সৃজনশীলতাই মুখ্য। সিনটেক্স অ্যারর টিমের আইডিয়াটি এই সৃজনশীলতারই অংশ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মাটি থেকে অক্সিজেন তৈরির যে প্রক্রিয়াটি তারা দিয়েছে, তা অদূর ভবিষ্যতে শুধু পৃথিবী নয়, মঙ্গলের মত গ্রহেও কাজ দিবে; অক্সিজেনের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখবে’। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে রানার আপ হওয়ার জন্য তিনি সিনটেক্স অ্যারর টিমকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিনহাজ হোসাইন প্রমুখ। উল্লেখ্য, সিনটেক্স অ্যারর টিমের প্রকল্পটি নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের গেøাবাল নমিনি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি