বিজেপির নির্বাচনি কৌশলে পরাস্ত ভারতের বিরোধীরা

34

এখন পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কঠোর সমালোচকদের অন্যতম পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স¤প্রতি এক সমাবেশে তিনি অভিযোগ করেন, সাত ধাপের নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) সুবিধা দিতে। তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত তার মতো অন্য বিরোধী দলগুলোর কারো মাথাতেই প্রচন্ড গরমের দিনের দীর্ঘ এই তফসিল নিয়ে প্রশ্ন জাগেনি। আর এরইমধ্যে ৫৪৩ লোকসভা আসনের মধ্যে ৩০২টির ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গেছে। বাকি আসনগুলোর জন্যও বিজেপি যে রাজনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে বিরোধী দলগুলোর জন্যও খুব বেশি বিকল্প হাতে নেই।
ভারতের দীর্ঘতম ও সবচেয়ে উত্তেজনাকর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের তফসিলের মাঝামাঝি সময়ে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে ক্ষমতাসীন বিজেপি তাদের বিরোধী দলগুলোকে কৌশল দিয়ে পরাস্ত করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিশাল বিজয় পেলেও ওই নির্বাচন থেকে ভিন্ন কৌশল নিয়ে এগুচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি। ২০১৪ সালে তরুণ, মধ্যবিত্ত এবং অন্যান্য শ্রেণীপেশার সাধারণ মানুষের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছিল দলটি। ভারত আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে বিবেচ্য হতে শুরু করার মধ্য দিয়ে তারা নিজেরাই নিজেদের রাজনৈতিক কৃতিত্বকে ছিনিয়ে নিয়েছে। গত পাঁচ বছরের সমস্যা ও ব্যর্থতা সত্তে¡ও ভারত বিশ্বের এগারোতম অর্থনীতি থেকে ষষ্ঠ অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। তা সত্তে¡ও এবছর প্রার্থী নির্বাচন করতে গিয়ে আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ জুটিকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। অর্থনীতির গতি নিম্নমুখী। প্রতিশ্রুত সংখ্যক চাকরির ব্যবস্থা করা যায়নি।