বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

3

ঢাকা প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কেটে চাষাবাদের অনুপযোগী করার ঘটনায় কারা দায়ী তা খুঁজে বের করতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি সাতকানিয়ার যেসব কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কাটা হয়েছে, তা বাইরে থেকে পলিমাটি এনে ৩০ দিনের মধ্যে ভরাট করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রামের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রামের ডিসি-এসপিকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। আদেশের সময় অনলাইনে আদালতে হাজির ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সাতকানিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসি।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ। এর আগে গত সোমবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় ব্যাখ্যা জানতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, সাতকানিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসিকে অনলাইনে তলব করেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
চট্টগ্রামে সাতকানিয়ায় কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না ফসলি জমির মাটিকাটা। রাতের অন্ধকারে যে যেভাবেই পারছে স্কেভেটর (মাটি খননযন্ত্র) দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ডাম্পারযোগে (মিনিট্রাক) ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট করে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আব্দুল মুনাফ নামের স্থানীয় একজন বাসিন্দা হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ১৯ মার্চ টপসয়েল কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ আদেশের পরও টপসয়েল কাটা অব্যাহত থাকার বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়। এরপর আদালত সংশ্লিষ্টদের অনলাইনে তলব করেন।
এদিকে সাতকানিয়ায় গভীর রাতে কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কাটার সময় আটক দুইজনকে কারাদÐ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত ২১ এপ্রিল দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের পাঠানীপুল এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন বিশ্বাস। কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন নলুয়া ইউনিয়নের মৈশামুড়া মরফলা বাজার এলাকার দেওয়ানজী বাড়ির আলাউদ্দীনের ছেলে মো. আবুল কামাল (৪২) ও লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নের পূর্ব বাগমোয়া এলাকার মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে মো. এরশাদ হোসাইন (৩৮)।