বিক্ষোভে সহিংসতায় নিহত বেড়ে ২৩

14

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ভারতে চলমান বিক্ষোভে সহিংসতায় গতকাল পর্যন্ত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার শুধু উত্তরপ্রদেশেই নয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের মুখপাত্র প্রবীন কুমার জানান, উত্তর প্রদেশে সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ বলে জানান তিনি।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে অনেকেই গুলিদ্ধি হয়ে মারা গেছেন। তবে তাদের মৃত্যু পুলিশের গুলিতে হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। তার মতে, বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ শুধুমাত্র টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে। গুলির ঘটনা ঘটে থাকলে তা বিক্ষোভকারীদের দিক থেকে হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, উত্তরপ্রদেশের রামপুর, সামভাল, মুজাফফরনগর, বিজনর এবং কানপুর জেলায় বিক্ষোভের সময় বেশ কিছু যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার একটি পুলিশ স্টেশনেও আগুন লাগানো হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থার
ভারতে গত ১১ ডিসেম্বর কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন। এতে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিতর্কিত এই আইন পাস করার পর থেকেই ভারতের বিভিন্ন স্থানে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
আন্দোলনকালে সহিংসতায় জড়িত অভিযোগে আটক করা হয়েছে অন্তত এক হাজার জনকে। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশেই ৭০৫ জন আটক হয়েছেন।
দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গত রোববার পুলিশি হামলার পর থেকে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, বিহার, গুজরাট, কেরালা, মেঘালয়সহ বিভিন্ন রাজ্যে নাগরিক আইনের প্রতিবাদে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
এদিকে দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলার মধ্যেই দেশটির ১১০০ গবেষক, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষক আইনটির সমর্থনে বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, নতুন নাগরিকত্ব আইন দীর্ঘদিনের দাবি। যেসব মানুষ পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তাদের কথা বিবেচনা করেই এই সংশোধনী।
যদিও এরই মধ্যে এ আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও নাগরিকরা।