বিক্রি হল চ্যাপলিনকে নিয়ে গেইমের স্বত্ব কিন্তু কী থাকবে তাতে?

5

পূর্বদেশ ডেস্ক

কালজয়ী কৌতুক অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের বিভিন্ন কাজ ও পছন্দ অবলম্বনে ভিডিও গেইম তৈরির বিশেষ স্বত্বাধিকার কিনেছে কানাডার এক গেইম নির্মাতা কোম্পানি। ‘দ্য গ্রেট ডিক্টেটর’, ‘মডার্ন টাইমস’ খ্যাত এই পরিচালক অনেক সিনেমার কাহিনী লেখার পাশাপাশি অভিনয়েও ছিলেন সমান দক্ষ। তার অভিনীত চরিত্র ‘ট্র্যাম্প’ এখনও কৌতুক জগতে সবচেয়ে আইকনিক চরিত্রগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হয়।
চলচ্চিত্র মহলের যারা এক সময় তার কাজের অবজ্ঞা করতেন চ্যাপলিন এখন তাদের কাছেও সমাদৃত।ইউটিউবে তার বিভিন্ন পুরনো ক্লিপ এমনকি পুরো সিনেমা এখনও আকৃষ্ট করে সমসাময়িক দর্শকদের। খবর বিডিনিউজের
জনপ্রিয় এই চলচ্চিত্র নির্মাতার পরিবারের কাছে গেইমের ধারণা সফলভাবে চ্যাপলিন বিশেষজ্ঞ ইয়েভেস ডুরান্ড ও কুইবেকভিত্তিক গেইম নির্মাতা ‘বি ডিফ’রেন্ট গেইমস বোঝাতে পেরেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস।
গেইম তৈরিতে চ্যাপলিনের পরিবারের একমাত্র চাওয়া ছিল, এতে ‘সহিংসতা, লিঙ্গ ও বর্ণ বৈষম্যের’ মতো বিষয়গুলো না রেখে যেন কেবল মূল গল্পটিই বলা হয়।
বি ডিফ’রেন্ট গেইমসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট ইয়াং বলেন, “চ্যাপলিনের আকর্ষণের মূল জায়গা হলো, আপনি এখনও ১০-১৫ বছর বয়সী একদল কিশোরকে তার অভিনীত কোনো সিনেমা দেখালে, তা আজও তাদের হাসাবে।”
“তিনি যা করতেন, যেভাবে করতেন, যেভাবে নিজেকে প্রকাশ করতেন ও যেভাবে চলাফেরা করতেন, সেগুলো আজও সবাইকে হাসায়। এগুলো দেখে তারা এখনও মজা পান, ফলে এটি গেইম হিসেবে আনলে ভালোই হবে। তবে, চ্যাপলিনের চরিত্র কীভাবে একটি ভিডিও গেইম আকারে আসবে, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। কারণ, এর সঙ্গে সম্পৃক্ত লোকজনকে গেইমের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বাদে এখনও তেমন কিছু করতে দেখা যায়নি।”
নিজের যে কোনো প্রকল্পকে ‘সামাজিক প্রভাব ফেলার’ ভিডিও গেইম হিসেবে বিবেচনা করেন ইয়াং। গেইমগুলো তৈরি হচ্ছে মন্ট্রিয়েলের ‘গেইমিং সহায়ক’ কোম্পানি ‘ইন্ডি অ্যাসাইলামের’ সহায়তায়। তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে আমরা পাঁচ বছর অপেক্ষা করেছি। আর এখানে রয়্যালটি নিয়ে আলোচনার চেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে তাদের সঙ্গে আমাদের মূল্যবোধ মেলার বিষয়টি।
তিনি আরও বলেন, চ্যাপলিনের সিনেমা কেবল বয়স্ক লোকজন দেখেন, এই ধারণাটি ভুল। কারণ, প্রতিবছর ইউটিউবে ২০ কোটির বেশি দর্শক চ্যাপলিনের সিনেমা দেখেন, যাদের বয়স ১৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এ বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ নিয়ে কখনওই ভিডিও গেইম বানানো হয়নি।
তবে, তার ধারণা ভুল। কারণ, ১৯৮৮ সালে এমএস-ডস অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একটি ‘চ্যাপলিন’ গেইম এনেছিল মার্কিন গেইম নির্মাতা ইউএস গোল্ড।