বিকৃত যৌনাচারের শিকার গৃহবধূ

8

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীতে ভাশুরের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী ও তার বড় ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গৃহবধূর অভিযোগ, স্বামী সিরাজুল ইসলামের সহযোগিতায় বিকৃত যৌনাচার চালাতেন ভাশুর ইব্রাহিম রনি। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানার ফিরিঙ্গাবাজার এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ বাদি হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে গত শনিবার রাতে ফিরিঙ্গীবাজার মসজিদ ভিটা এলাকা থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে রবিবার দুপুরে দুই আসামিকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হালিমের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই সামাজিকভাবে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় ভুক্তভোগী নারীর। সিরাজ বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রীর হাত-পা ও চোখ বেঁধে বিকৃত সহবাসে লিপ্ত হতেন। চোখ বাঁধার কারণে কে সহবাস করতো, তা দেখতে পারতেন না গৃহবধূ। প্রথমদিকে স্বামীই সহবাস করছে মনে করতেন। কিন্তু পরবর্তীতে গৃহবধূর সন্দেহ হতে থাকে। গত ৫ সেপ্টেম্বর একই কায়দায় বিকৃতভাবে সহবাস করতে গেলে একপর্যায়ে তার হাতের বাঁধন খুলে যায়। চোখের কাপড় সরিয়ে দেখতে পায় ভাশুর মো. ইব্রাহিম রনিকে।
এ বিষয়ে স্বামী সিরাজের কাছে জানতে চাইলে উল্টো গৃহবধূকে মারধর করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। পরে কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এর ৯ (১) ধারায় গৃহবধূ বাদি হয়ে মামলা করেন।
কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদার জানান, ফিরিঙ্গাবাজার এলাকায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গৃহবধূর স্বামী ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুই আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে হাজির করা হয়। আদালত দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত রিমান্ড আবেদনের শুনানি আগামী মঙ্গলবার ধার্য করেন।