রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে আজ সোমবার থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হচ্ছে। গত ১২ জানুয়ারি রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কুতুকছড়ি বাজার বেইলি ব্রিজটি পাথরবোঝাই ট্রাকসহ ভেঙে পড়ে। এতে চালকসহ তিনজন নিহত হয়। এরপর থেকে খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙামাটির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গতকাল রবিবার দুপুরে রাঙামাটি শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে কুতুকছড়ি বাজারে গিয়ে দেখা যায় সেনাবাহিনীর তত্ত¡বধানে বিকল্প সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। ২১০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ভেঙে পড়া কুতুকছড়ি বেইলি ব্রিজটির ইস্পাতের কাঠামো জোড়া লাগানোর কাজ চলছে। কাপ্তাই থেকে আনা হয়েছে পুরনো বেইলি ব্রিজ। তার সাথে অন্য ব্রিজের অংশবিশেষ জুড়ে দিয়েই পুনরায় বেইলি ব্রিজটি স্থাপন করা হচ্ছে। এরইমধ্যে প্রায় ১৮০ ফুট জোড়া লাগানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সেতুটির কাজ শেষ করে তা পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দেওয়ার চেষ্টা করবে সওজ কর্তৃপক্ষ। তবে ভেঙে পড়ার দিন থেকে সেতুর পশ্চিম পাশে বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করে জনসাধারণ পায়ে হেঁটে পাড়াপাড়ের ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাজার ব্যবসায়ীরা। সেটি এখনো ব্যবহার করছেন পথচারীরা। অনেকে ইঞ্জিন নৌকায় দুইশত টাকার বিনিময়ে মোটরসাইকেল পারাপার করছেন।
স্থানীয়রা জানান, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সংযোগ সেতুটি ভেঙে পড়ায় মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পাহাড়ের মানুষ। এছাড়া উৎপাদিত সবজি বিক্রি ও ব্যবসায়িক নানা কাজে প্রতিনিয়ত ব্রিজটি ব্যবহার করে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু যানবাহন চলাচলের কোন ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। মৌসুমি ফল, ফসল এবং বিশেষ করে চলতি মৌসুমের আনারস চাষিরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সড়ক যোগাযোগ না থাকায় উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে বাড়তি পরিশ্রমের সাথে বাড়িত পরিবহন ব্যয়ও গুণতে হচ্ছে তাদের।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহে আরেফীন জানান, ‘জন দুর্ভোগ নিরসনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২০ ইসিবি ও সওজ যৌথভাবে ব্রিজের তৈরির কাজ করছে। এরইমধ্যে বিকল্প সড়ক ও ১৪০ মিটার লম্বা বেইলি ব্রিজ স্থাপন করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করে দেয়া হলে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি যোগাযোগ আবারো স্বাভাবিক হবে। এছাড়া ভেঙে পড়া ব্রিজটিও খুব শিগগির যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করতে দ্রæত গতিতে কাজ করা হচ্ছে’।
