বিএফআইডিসি রোডেই হচ্ছে চসিকের হাইটেক পার্ক

42

আইসিটি খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে ‘হাইটেক পার্ক’ নির্মাণের পরিকল্পনা আছে সরকারের। ইতোমধ্যে ঢাকাসহ ১২টি জেলায় এই হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ চলছে। অবশেষে চট্টগ্রামবাসীর ইচ্ছাও পূরণ করছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
গতকাল শুক্রবার সকালে হাইটেক পার্ক নির্মাণে প্রস্তাবিত বিএফআইডিসি রোড সংলগ্ন চসিকের মালিকানাধীন জায়গা পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। চসিকের এ স্থানটি হাইটেক পার্ক নির্মাণের জন্য উপযুক্ত মন্তব্য করে জরুরী ভিত্তিতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণপূর্বক কাজ শুরু করার নির্দেশও দিয়েছেন মন্ত্রী। হাইটেক পার্ক-১২ এর প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার এম.জি মোস্তাফাকে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
এ সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর একান্ত সচিব খোরশেদ আলম খান, ৭-আইটি’র প্রজেক্ট ডাইরেক্টর গৌরি শংকর ভট্টাচার্য্য, ১২-আইটির সহকারী প্রকল্প পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ, হ্যালো ওয়ার্ল্ড এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিজবাহ উদ্দিন চৌধুরী সহ কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র বিএফআইডিসি রোডস্থ চসিকের ১১ দশমিক ৫ একর জায়গার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন। মন্ত্রী পুরো জায়গা ঘুরে দেখেন এবং হাইটেক পার্ক নির্মাণে চসিকের মালিকানাধীন জায়গা প্রদানের ইচ্ছা পোষণ করায় সিটি মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, নগরে এ রকম জায়গা পাওয়াটা খুবই দুস্কর। সেক্ষেত্রে চসিক এগিয়ে আসায় বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। একটি পুকুর অক্ষুণ্ণ রেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই জায়গার সার্ভে রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাইনবোর্ড টাঙানো ও মাটি ভরাটের কাজ শুরুর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের দিক নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, এই পার্ক নির্মাণের ফলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রামবাসী উপকৃত হবেন। এ অঞ্চলের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট ও আইসিটি পণ্য উদ্ভাবন এবং তা বিদেশে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হবে। সরকারে রপ্তানি আয় সংক্রান্ত অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে এই হাইটেক পার্ক গুরুত্বপূূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মেয়র প্রত্যাশা করেন।