বিএনপি না এলেও নেতারা ঠিকই আসবে : তথ্যমন্ত্রী

7

পূর্বদেশ ডেস্ক

বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না এলেও দলটির ‘অনেক নেতা’ ভোটে অংশ নেবে এবং তাদের ‘ঠেকানো যাবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন উকিল আবদুস সাত্তার। দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। বিএনপি ওই আসনে উপনির্বাচনে না গেলেও উকিল সাত্তার আবারো প্রার্থী হয়েছেন।সেজন্য তিনি দলের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। আর দল তাকে বহিষ্কার করার কথা বলেছে।
বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দিকে ইংগিত করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে বিএনপির সিদ্ধান্তগুলো তো সমুদ্রের ওপার থেকে আসে। বাংলাদেশের বাস্তবতা সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। তারা ১৫-১৬ বছর ধরে দেশের বাইরে। দেশের পরিস্থিতি কী সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। ব্যাক্তিগতভাবে আমি মনে করি, বিএনপির এমপিদের পদত্যাগ করা অদূরদর্শী একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। আব্দুস সাত্তার সাহেবের নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে, আসলে বিএনপির সম্মুখসারির অনেক নেতাই নির্বাচনমুখী। তারা নির্বাচন করতে চায়। এবং তাদের অনেকেই মনে করে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে প্রতিহত করার যে চেষ্টা বিএনপি করেছিল, সেটা ভুল ছিল’।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, সেই দোলাচলের মধ্যে থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটাও বিএনপির ভুল ছিল। অর্থাৎ, পূর্ণ শক্তি নিয়ে নির্বাচন করা উচিত ছিল। এবারও তাদের সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ, সেটি তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পদত্যাগ বিএনপির জন্য শুভ হয়নি। উকিল আব্দুস সাত্তার সাহেবের নির্বাচন করা এটাই ইঙ্গিত দেয়, বিএনপি যদি ভবিষ্যতে নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয়, বিএনপির নেতারা কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপির নেতাদের ঠেকানো যাবে না নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে’।
সরকার ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে তো উনারা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এবং উনারা সন্ত্রাসের ওপর ভর করেই রাজনীতিটা করে। আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার গঠন করেছে এবং দেশ পরিচালনা করছে। আমাদের জনগণ যতদিন চাইবে, ততদিনই আমরা দেশ পরিচালনা করব। জনগণ না চাইলে আমরা একদিনও থাকব না। বিএনপি বরং পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায় এবং পেছনের দরজা দিয়েই ক্ষমতায় গেছে’।