বিএনপি দমন করতে সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করা হচ্ছে

10

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ৭ জানুয়ারির প্রহসনের একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে আওয়ামী লীগ। তারা সব সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে দমন ও নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করছে। পুলিশ, র‌্যাব, ডিজিএফআই, দুদকসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিয়মিত রুটিন ওয়ার্ক বাদ দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও হয়রানির মাধ্যমে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। দেশের শ্রমজীবী ও সাধারণ জনগণ দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা। কিন্তু এতে সরকারের মাথা ব্যাথা নেই। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের লোকজন সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত হয়ে রমজানকে পুঁজি করে ব্যবসায়িক ফায়দা নিচ্ছে আর এর খেসারত দিচ্ছে জনগণ।
গতকাল বিকাল ৪টায় নগরীর জিইসি কনভেশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিভাগীয় জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের উদ্যোগে সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে আবদুল্লাহ আল নোমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
নোমান বলেন, বিএনপির আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের জনগণ ৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপিকে ধ্বংস করার সরকারের নীল নকশা বুমেরাং হয়ে গেছে। সরকার দমন-পীড়ন ও প্রলোভনের মাধ্যমে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে আদর্শচুত্য করতে পারে নাই। যতবারই বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সরকার অপচেষ্টা চালিয়েছে প্রতিবারেই বিএনপি ফিনিক্স পাখির মত জেগে উঠেছে।
বিভাগীয় শ্রমিকদলের সভাপতি এএম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের সঞ্চালনায় সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী ও বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, একরামুল করিম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহব্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপি নেতা এম এ সবুর, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, জসীম উদ্দিন শিকদার প্রমুখ।
শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেকটা তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার, ডলার সংকটসহ সরকারের লুটপাটের খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে। সারাদেশে শ্রমজীবী মানুষ অনাহারে ও অর্ধাহারে জীবনযাপন করছে। এই সরকারের পতন ছাড়া চলমান সংকট থেকে মুক্তির কোন উপায় নেই। তিনি শ্রমিকদলকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি