বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে কি সংসদ অচল হয়ে যাবে

4

পূর্বদেশ ডেস্ক

রংপুরের সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দিলেই দলীয় সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করবেন। তারা যদি পদত্যাগ করেন-ই, তাহলে জাতীয় সংসদ অচল হয়ে যাবে কিনা প্রশ্ন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাদুল কাদের।
গতকাল রোববার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় সম্মেলন পূর্ব প্রস্তুতির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উল্টো প্রশ্ন করেন ওবায়দুল কাদের। আগামী ২৪ ডিসেম্বর দলটির ২২তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, তাদের হুমকির কি আছে? তাতে কি সংসদ অচল হয়ে যাবে? তারা কয়জন? ৭ জন। সাতজন পদত্যাগ করলে সংসদ কি অচল হয়ে যাবে? পদত্যাগের ব্যাপারটা তাদের দলের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এটা আমাদের বিষয় না। হারাধন গেলেও কি, না গেলেও কি, নির্বাচনের এক বছর বাকি। খবর বাংলানিউজ।
বিএনপি বলেছে নির্বাচনে যাবে না। তাদের এক দাবি সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এ ব্যাপারে করা প্রশ্নের উত্তরে আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের এখনও এক বছর বাকি। এখনও অনেক সময়। এর মধ্যে কত কিছু ঘটে যাবে। নাটকের পর নাটক। বিএনপি তো রঙ্গের রঙ্গে নাটক দেখায়। গতবারও আসবে না, আসবে না, পানি ঘোলা করে শেষ পর্যন্ত ঠিকই এসেছে। পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে গড়ায় দেখুন। পদ্মা মেঘনা যমুনা মধুমতীর জল। এই জল গড়িয়ে যাবে অনেক দূর। জল যাবে মিশে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে। কাজেই অপেক্ষা করুন। সময়ে অনেক কিছু বদলায়।
বিএনপির সমাবেশে ভয় পেয়ে পরিবহন বন্ধ করছে সরকার। দলটির এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহনের লোকেরা বিএনপিকে ভয় পায়। কত ড্রাইভার-হেলপার পুড়িয়ে মেরেছে, ভয় পায় তারা বিএনপিকে।
আওয়ামী লীগ বিএনপির পাল্টাপাল্টি কোনো কর্মসূচি করবে না বলে জানান ওবায়দুল কাদের। আগামী ৫ নভেম্বর কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি। বলেন, সেই তারিখে দেখছি, তাদেরও বরিশালে সমাবেশ আছে। তাহলে কি এটাকে আপনি পাল্টাপাল্টি বলবেন? বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টির কোনো বিষয় নেই।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ সভাপতি বাইরে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেননি বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) বেশ কিছুদিন ধরে বলছিলেন বাইরে জনসভা করবেন। প্রথমে দুই-তিনটি জেলা নির্দিষ্ট করে বলেছেন যে এগুলোতে সমাবেশ করবেন। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলায়ও করবেন।
আওয়ামী লীগ বিরোধীদের দমনে জঙ্গিবাদ ও অগ্নি সন্ত্রাসের ভোঁতা অস্ত্র ব্যবহার করছে বিএনপির এমন দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জঙ্গিবাদ ও সা¤প্রদায়িক শক্তি ছাড়া বিএনপির সভা-সমাবেশ অচল। জঙ্গিবাদ তাদের হাতেই সৃষ্টি। সা¤প্রদায়িক শক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে দলটি। এটা আগেও ছিল, এখনো আছে। তিনি বলেন, আগুন-সন্ত্রাস করতে আসুন। মাঠে আসুন। জনগণ প্রস্তুত। তাদের নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে। আগুন-সন্ত্রাস করতে দেওয়া হবে না। আন্দোলন করুক আমাদের আপত্তি নাই।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সভায় উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমÐলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য শাহাবুদ্দিন চুপ্পু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।