বিএটি’র আর্সেনিকমুক্ত সুপেয় পানি পাবে পাঁচ হাজার মানুষ

73

বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের ধুংরী হেডম্যানপাড়ার বাসিন্দা মিংখিং মারাম। প্রতিদিন নিজ পল্লী থেকে অর্ধ কিলোমিটার দূরে উপজেলা সদরের সামনের টিউবওয়েল থেকে সুপেয় পানি সরবরাহ করতেন। অনেক সময় মানুষের দীর্ঘ লাইনের কারণে এ টিউবওয়েলে পানি না পেয়ে খালি কলস নিয়ে ফিরতে হয়েছে। তারমতো নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের শত মানুষ সুপেয় পানির জন্য চরম দুর্ভোগে জীবন কাটিয়েছে। এখন সেই দিন অতীত হয়ে গেছে। উপজেলা পরিষদ ভবনের পেছনে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) স্থাপন করেছে আর্সেনিকমুক্ত সুপেয় পানি শোধনাগার। এখন থেকে প্রতিদিন সেখান থেকে আনুমানিক ১০ হাজার লিটার আর্সেনিকমুক্ত পানি সংগ্রহ করতে পারবেন এলাকার মানুষ। জানা যায়, পাহাড়ী এলাকায় সরকারী বা ব্যক্তিমালিকানার টিউবওয়েল, রিংওয়েল গুলোতে শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে গেলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ছাড়াও পাঁচটি ইউনিয়নে সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে দূর্গম এলাকার মানুষ বিভিন্ন রিংওয়েল, পাহাড়ী ঝিরি বা কূপ খনন করে পানি পান করে আসছিলেন। এদিকে উপজেলা সদরের মসজিদঘোনা, মহাজনঘোনা, ধুংরী হেডম্যানপাড়া, স্কুলপাড়া, হিন্দুপাড়া, আবাসিক এলাকা, বাজারপাড়াসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বাজারের ব্যবসায়ীরা সুপেয় পানির সংকটে ছিল। উপজেলা পরিষদের সামনের একমাত্র টিউবওয়েলটি ছিল তাদের একমাত্র পানির ভরসা। তাও আবার শুষ্ক মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি মিলতনা। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আরেফ উল্লাহ ছুট্টু জানান, দীর্ঘদিন পর সদর ওয়ার্ডের বাজার এলাকার মানুষের খাবার পানির সংকট দূর হতে যাচ্ছে। এ জন্য তিনি বিএটিকে ধন্যবাদ জানান। আদর্শগ্রাম, ইসলামপুরসহ দূরের গ্রামগুলোতেও এই প্রকল্পটি বাড়ানো হলে মানুষ আরো বেশি উপকৃত হবে। বিএটি’র নাইক্ষ্যংছড়ি এরিয়া ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা সদরে দীর্ঘদিন বিশুদ্ধ পানির সংকট তিনি লক্ষ্য করেছেন। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার পর বিএটি সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের (সিএসআর) অংশ হিসেবে প্রকল্পটির মাধ্যমে পরিশোধন প্ল্যান্টটি স্থাপন করেছে। এতে করে এলাকার মানুষ প্রতদিন দশ হাজার লিটার পানি সরবরাহ করতে পারবেন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষের সুপেয় পানির জন্য সরকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেরও কাজ করা উচিত। এ প্লানটির মাধ্যমে শত শত মানুষ উপকৃত হবে।