বায়েজিদ ছাত্রলীগকর্মী খুনের ঘটনায় আটক ৬

12

বায়েজিদে ছাত্রলীগের দু’গ্রূপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে মো. ইমন নামে ছাত্রলীগকর্মী নিহতের ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে তাদেরকে আটক করে বলে নিশ্চিত করেন বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার।
আটককৃতরা হলেন- মো. সোহেল (২৯), লিটন (২৮), নুর আলম প্রকাশ কালু (২৭), রুবেল (২৫), ফজর আলী (২৯) ও আহসান কবীর (২৬)।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার পূর্বদেশকে জানান, প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য অনুযায়ী ৬ জনকে আটক করা হয়েছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদেরকে দোষী বলে শনাক্ত করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বর্তমানে থানায় রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর আরো যারা ঘটনার সাথে জড়িত আছে, সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। ভিকটিমের পরিবার লাশ দাফন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
নিহত ইমনের বন্ধু মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, ইমনসহ কয়েকজন মিলে মুক্তিযোদ্ধা কলোনির খলিলের দোকানে বসে কোল্ড ড্রিংক্স খাচ্ছিলাম। এ সময় হঠাৎ করে ৫০-৬০ জন লোক এসে ধর ধর চিৎকার করে আমাদেরকে ধাওয়া করে। তাদের ধাওয়া খেয়ে আমরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে ইমনের জুতা খুলে যায়। ইমন জুতো নিতে গেলে মামুন ইমনের মাথায় আঘাত করে। পরে ইমনকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর শুরু করে হামলাকারীরা। একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাত করলে ইমনের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে মামুন পালানোর চেষ্টা করে, পরে তাৎক্ষণিক আমরা তাকে ধরে ফেলি। পুলিশ আমাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে মামুনকে নিয়ে যায়। পরে আমরা শুনতে পাই মামুনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
চারদিন আগে মামুন ও তার সহযোগীরা আমাদের কয়েকজনকে মারধর করে। এ বিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তারই জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা করে।
ইমনের মা বলছেন, তার ছেলেকে মামুনদের দলে যুক্ত হওয়ার জন্য সবসময় হুমকি-ধমকি দিতো। কিন্তু আমার ছেলে তাদের দলে না যাওয়ায় ডেকে নিয়ে তাকে খুন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৭ বছর বয়সী নিহত মো. ইমন মুক্তিযোদ্ধা কলোনির নুর কাশেমের ছেলে। তিনি সদ্য ঘোষিত বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী বলে জানা গেছে।