বাস ছাড়া সবই চলে!

21

দিন যতই যাচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন যেন ততই শিথিল হয়ে পড়ছে। লকডাউনের শুরুর দিকে নগরীর সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকলেও এখন বাস ছাড়া সব ধরনের পরিবহনই দেখা যাচ্ছে। একইসঙ্গে সড়কে বেড়েছে সাধারণ মানুষের চলাচল। তবে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষের চলাচলে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার। তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, লকডাউনের মধ্যে নগরীতে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল সবই চলছে। দিন দিন এর সংখ্যা আরও বাড়ছে। পুলিশের চেক পোস্টগুলোতেও কড়াকড়িও কমেছে অনেক। মানুষও রাস্তায় বের হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় যাত্রীবাহী বাস নেই। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের বেশ চাপ রয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই ট্রাফিক সামাল দিতে হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের। এমনকি কিছু সিগন্যালে ছোটখাটো যানজটও দেখা গেছে।
সকালে নগরীর হাতিরঝিল, বিজয় সরণি ও নতুন বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ চেক পোস্টগুলোতে যানবাহনের চাপ দেখা গেছে। বিগত কয়েক দিনের তুলনায় যানবাহনের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। লকডাউনের শুরুর দিকে সড়কে চলাচলরত রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় একজন করে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গিয়েছিল। তবে এখন দুই থেকে তিন জনের বেশিও চলাচল করছে। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরাও তেমন একটা তদারকি করছেন না। সকালে অফিস সময়ের দিকে কিছুটা কড়াকড়ি দেখা গেলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চেকপোস্ট ছেড়ে অনেক ট্রাফিক সদস্যদের আশপাশের গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে।
মালিবাগের আবুল হোটেল মোড়ে গাড়ির বেশ চাপ দেখা গেছে। মতিঝিল, কাকরাইল, পল্টন, শাহবাগ অঞ্চল ঘুরেও সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে।
হাতিরঝিলের রামপুরা ব্রিজ অংশের চেকপোস্টে দায়িত্বর একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা যাকেই ধরি তিনি সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে যে ১৮টি শর্ত দিয়েছে তার আওতায় পড়ে যান। তখন তো কাউকে বারণ করা যায় না, এ কারণে যানবাহনের চাপ বেশি বলে মন্তব্য করেন তিনি। খবর বাংলা ট্রিবিউনের