বিএনপি তাদের ‘নীলনকশা অনুযায়ী’ ভোটের দিন রাজধানীতে ‘বাসে আগুন দিয়ে নাশকতা করেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তার এমন মন্তব্য আসে। ওবায়দুল কাদের বলেন, সেই পুরানো আগুন সন্ত্রাসের সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি, এটা তারা আগের মত শুরু করেছেন। এর মধ্যে একটি ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে, পুলিশের কাছে আছে, এখানে বিএনপি কর্মীদের উপস্থিতি চেহারা দেখলে বোঝা যায়। কৌশলটা ছিল এমন যে, বাসের ভিতরে যাত্রী সেজে বসে থেকে আগুন লাগানোর সময় আগুন আগুন বলে যাত্রী সেজে পিছনের দরজা দিয়ে বেড়িয়ে যায়।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা-১৮ আসনে উপ নির্বাচনের মধ্যে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতাকর্মীরা নয়া পল্টনে মিছিল বের করার পর দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দশটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে নয়টি মামলা করা হয়েছে, যাতে বিএনপি নেতাকর্মীদেরই আসামি করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের
২০১৫ সালের প্রথম তিন মাসে বিএনপি-জামায়াত জোটের সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে ব্যাপক নাশকতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের কাজই হচ্ছে এসব। হম্বি-তম্বি করবে, ভোটের দিন আর নেই। একটা সময় বেছে নিয়েছে তারা। বিএনপি তাদের চিরাচরিত সন্ত্রাসী পথ পরিহার করতে পারেনি। তাদের নীলনকশা অনুযায়ী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং গতকাল রাজধানীতে এই নাশকতা।
তিনি বলেন, আমরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, বিএনপির এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বৈশ্বিক মহামারী এই করোনার প্রকোপের মধ্যেও তাদের ধারাবাহিক নাশকতামূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। মহামারীকালে কোনো সভ্য দেশে এ ধরনের ভয়াবহতার ভাবনা আসাটাও অচিন্তনীয়।
জয়ের জন্য নয়, নির্বাচনকে ‘বিতর্কিত করার লক্ষ্য’ নিয়েই বিএনপি ভোটে অংশ নেয় বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
নির্বাচন ‘শান্তিপূর্ণ’ হলেও ঢাকায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ভোট পড়েনি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এখন করোনাভাইরাসের কারণে অনেকেই আসে না। এছাড়া এই নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হচ্ছে না মনে করে অনেকে ভোট কেন্দ্রে যায় না।”
