বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

74

চলন্ত মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে উপর উঠে যায় বাস। বাসের নিচেই আটকা পড়েন মোটর সাইকেলের ২ আরোহী। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে মোটরসাইকেল চালককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর ডবুলমরিং থানার দেওয়ানহাট বায়তুশ শরফ মাদরাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম রতন কুমার দেবনাথ (৩০)। রতন কুমার ফেনীর চৌমুহনির বালুচরা এলাকার তরুণ কুমার দেবনাথের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের একটি পরিবহন সংস্থার সুপারভাইজার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। আহত মোটরসাইকেল আরোহী জালাল আহমেদ (২৫) হালিশহরের ঈদগাহ বৌ-বাজার এলাকার নাছির আহমেদের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, নিহত রতন কুমার মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন ও আহত জালাল আহমেদ পেছনে ছিলেন। পেছন দিক দিয়ে একটি বাস মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন দুইজন। উদ্ধার করে তাদের চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে রতন কুমারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত জালালকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, ধাক্কা দিয়ে বাসটি মোটরসাইকেলের উপর উঠে যায়। এতে বাসের নিচে আটকা পড়ে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী। সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ উদ্দিন বলেন, জালাল ও রতন অলংকার মোড় থেকে এসে ডবলমুরিং থানার সামনে ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে বায়তুশ শরফ মাদরাসার সামনে নামছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা নোয়াখালীগামী বাঁধন পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে তাদের ধাক্কা লাগে। মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে আটকে যায়। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে রতনকে মৃত এবং জালালকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।