বাবাই তার কর্মে প্রেরণা

26

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সরকারের সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেছেন বাঁশখালীর কৃতিসন্তান তাসনীম জাহান। পদোন্নতি হয়ে তিনি ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেছেন।
৩৫তম বিসিএসের মাধ্যমে তিনি সিভিল সার্ভিসে প্রবেশ করে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেন। ইতোপূর্বে তিনি রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় ও বান্দরবানের সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পদোন্নতি প্রাপ্তির অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মূলত সিনিয়র স্কেল পদে পদোন্নতি হয় ২০২২ সালের মাঝামাঝি। ২০২১ সালে সেপ্টেম্বরে সিনিয়র স্কেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। পরে পদোন্নতির গেজেট হয় এবং ঢাকায় পদায়ন হয়। প্রথমবার পরীক্ষার মাধ্যমে সিনিয়র স্কেল পরীক্ষা পাস করা ঐ সময়ে পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারণে আমার জন্য কিছুটা কঠিন ছিল। তারপরও আলহামদুলিল্লাহ পদোন্নতি হয়েছে নির্ধারিত সময়ে। এতে সকলের দোয়ায় ইনশাআল্লাহ আরও উৎসাহ ও কর্মস্পৃহা নিয়ে সামনের দিনগুলোতে কাজ করতে পারব বলে আশা করছি। আমার পরিবার, আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত আমি জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করি। আমার বাড়ি চট্টগ্রাম ও বাবা-মার একমাত্র মেয়ে হওয়ার সুবাদে সবসময় চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক ছিল সবকিছু। সার্ভিসের প্রয়োজনে এখন বিভিন্ন জেলা শহরে পদায়ন হওয়াতে বৈচিত্রময় কাজের ধরন ও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে যা একদিকে আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং আবার রোমাঞ্চকর।’
তাসনীম জাহান বাঁশখালী বৈলছড়ী ইউনিয়নের কুলীনপাড়া তথা চট্টগ্রামের কৃতিসন্তান স্বনামধন্য সমাজসেবী ও সংগঠক মরহুম মুহাম্মদ সিরাজুল কবিরের একমাত্র কন্যা। তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজকল্যাণ ফেডারেশনের মহাসচিব, বাঁশখালী সমিতি চট্টগ্রাম, আদর্শ বায়তুলমাল তহবিল, সামাজিক সংগঠন সমন্বয় ও কুলীন সংসদের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়াও চট্টগ্রাম সমাজকল্যাণ পরিষদ, চট্টগ্রাম সমাজকল্যাণ ত্রাণ কমিটি, বাঁশখালী সমাজকল্যাণ পরিষদ, চট্টগ্রাম মা-শিশু জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ রোগী কল্যাণ সমিতিসহ অসংখ্য সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক সংগঠনে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।
বাবা সম্পর্কে তাসনীম জাহান বলেন, ‘আমার বাবা মরহুম মুহাম্মদ সিরাজুল কবিরের জীবনাচরণ আমার অনুপ্রেরণা ও চালিকাশক্তি। বাবা-মা যে আদর্শে তৈরি করতে চেয়েছেন সেই মতে নিজেকে প্রকাশ করার চেষ্টা করি সবসময়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনে আমার সামগ্রিক অগ্রগতিতে জীবনসঙ্গী ও একনিষ্ঠ বন্ধুবর হিসেবে যার ভূমিকা অতুলনীয় তিনি আমার স্বামী মো. জাহেদুল আলম। তিনি উচ্চতর অধ্যয়ন ও ব্যবসায়িক পেশাগত কারণে লন্ডনে বসবাসরত। ৪ বছরের কন্যা ও একটি ৮ মাসের পুত্র সন্তান আছে আমাদের।’