বান্দরবান সীমান্তে ২০৩ শরণার্থীর অনুপ্রবেশ

54

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ২০৩ জন শরণার্থী অনুপ্রবেশ করেছে। রেমাক্রী পাংসা ইউনিয়নের ৭২নং পিলার হয়ে তারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। এসব শরণার্থী বর্তমানে চাইক্ষ্যং পাড়ায় অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
চাইক্ষ্যং পাড়ার স্থানীয়রা জানান, রেমাক্রী পাংসা সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের গতকাল আরো ৪০ পরিবার অনুপ্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। এ নিয়ে সীমান্তের চাইক্ষ্যং পাড়ায় এখন শরণার্থীর সংখ্যা ২০৩ জন। শরণার্থীরা সীমান্তের ওই পাড়ায় খোলা জায়গায় ত্রিপল টাঙিয়ে বসবাস করছে। আশপাশের পাড়াগুলো থেকে খাবার দিয়ে তাদের সহায়তা করা হচ্ছে।
জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে মিয়ানমারের সাথে যুক্ত চীন রাজ্যের প্লাতোয়া জেলার কান্তালিন, খামংওয়া, তরোয়াইন এলাকাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে এসব শরণার্থীরা জীবন বাঁচাতে সীমান্ত অতিক্রম করে রুমা উপজেলার চাইক্ষ্যং পাড়ায় ঢুকে পড়েছে।
এ বিষয়ে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শামসুল আলম জানান, আমরা রুমা উপজেলার দুর্গম রেমাক্রী পাংসা ইউনিয়নের ৭২নম্বর পিলারের কাছে শরণার্থী প্রবেশের কথা জানতে পেরেছি। এ পর্যন্ত খুমী ও রাখাইন সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ সেখানে অনুপ্রবেশের কথা জানা গেছে। তবে রুমা উপজেলার চাইক্ষ্যং পাড়া রুমা থেকে অনেক দুর্গম এলাকায় হওয়ায় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারছি না।
অপরদিকে সীমান্তে শরণার্থীদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সমন্বয়ে একটি পর্যবেক্ষক টিম এলাকাটি পরিদর্শন করেছে। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকটি টহল দল সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। বুধবার হেলিকপ্টারে করে সদস্যদের মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদুর রহমান জানান, সীমান্ত এলাকায় শরণার্থীদের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর টিম পাঠানো হয়েছে। শরণার্থীদের মনোভাব জানার পর সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মো.দাউদুল ইসলাম জানান, সীমান্তের পাশর্^বর্তী এলাকাতে শরণার্থী অবস্থান করার খবর শুনেছি। বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।