বান্দরবানে হাতির আক্রমণে আরও ১ জনের মৃত্যু

8

লামা প্রতিনিধি

লামা উপজেলায় দলছুট একটি বন্যহাতি একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে স্থানীয়দের জান-মালের ক্ষতি করছে। গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাশের ফাইতং ইউনিয়নের ফাদুরছড়া এলাকার একটি খামার বাড়িতে আক্রমণ চালায় হাতিটি। এসময় চিংসাথুই মার্মা (৪৫) নামের এক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায়ের ব্যক্তি প্রাণ হারান। চিংসাথুই মার্মা ফাদুর ছড়া পাড়ার বাসিন্দা চিংমউ মার্মার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে চিংসাথুই মার্মা ফাদুরছড়াস্থ নিজ বাড়ি থেকে খামার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসময় দলছুট ওই হাতির কবলে পড়েন চিংসাথুই মার্মা। পরে হাতিটি আঁচাড় মারলে চিংসাথুই মার্মা গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। একপর্যায়ে রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিংসাথুই মার্মা মারা যান।
ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক জানান, ঘটনাটি খুবই মার্মান্তিক। দলছুট হাতিটি এখনো বিক্ষিপ্তভাবে ঘুরাফেরা করার কারণে এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।
গত শুক্রবার দলছুট হাতিটি আজিজনগর ইউনিয়নের সোহরাব, মগ বাজার ও জামাল পাড়ায় আক্রমণ চালায়। এতে সোহরাব পাড়ার বাসিন্দা মৃত ফজর আলীর স্ত্রী খোদেজা বিবি (৬৫) ও মগবাজার পাড়ার বাসিন্দা মৃত মাঈন উদ্দিন গাজীর ছেলে আমির আলী (৫০) নিহত হন। আহত হন মোজাম্মেল হক বয়াতী (৬৫) নামের এক ব্যক্তি।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কারো কোন অভিযোগ না থাকায় ও আবেদনের প্রেক্ষিতে হাতির আক্রমণে নিহত চিংসাথুই মার্মার লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক বেলাল জানান, বন্যহাতির আক্রমণে নিহত চিংসাথুই মার্মার পরিবারকে বন বিভাগের বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া দলছুট হাতিটিকে সরিয়ে নিতে ঘটনাস্থলে বনবিভাগের লোকজন ও ‘হাতি রেসপন্স টিম’ পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।