বান্দরবানে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

13

বান্দরবানে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী মো. আবুল কালামের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। গতকাল সোমবার সকালে এগারোটায় জেলা ও দায়রা জজ মো. এহ্সানুল হক এ রায় দেন।
আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, ২০১৩ সালে ১৭ মার্চ সকালে মো. আবুল কালাম তার বাড়িতে পারিবারিক কলহের জেরে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে গাছের মোটা লাঠি দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ১৭ মার্চ নিহত মনোয়ারা বেগমের বাবা মো. সৈয়দ আলম বাদী হয়ে জামাতা মো. আবুল কালামের বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় এজাহার দায়ের করলে পুলিশ ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর এ ঘটনায় মো. আবুল কালামকে অভিযুক্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। আসামি মামলার শুরু থেকে পলাতক থাকায় আদালত কর্তৃক আসামির জন্য এসডিএল নিয়োগ করা হয়। আদালত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর মামলার যুক্তিতর্ক শুনানীর জন্য দিন ধার্য করেন। পরে আসামি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানীর পর্যায়ে ৩ নভেম্বর ২০২১ তারিখ আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। আসামিপক্ষ থেকে এ মামলায় ৪ জন সাফাই সাক্ষীকে পরীক্ষা করার পর আদালত এ রায় দেন।
দÐপ্রাপ্ত আসামি মো. আবুল কালাম (৪৫) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩নং ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি ঠাÐা ঝিরি ৩নং ওয়ার্ডের মৃত মকবুল আলীর ছেলে। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম একই এলাকার মো. সৈয়দ আলমের মেয়ে।
বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বেদারুল আলম জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি মো. আবুল কালাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার বাদী ও মনোয়ারা বেগমের বাবা মো. সৈয়দ আলম রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
অপরদিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামি মো. আবুল কালাম তার স্ত্রীকে হত্যা করে। এঘটনায় দায়রেকৃত মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণে বিষয়টি প্রমাণিত হয়। আদালতের বিচারক তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন।