বান্দরবানে দন্ডিত অপরাধীদের প্রবেশন, প্রায়োগিক সমস্যা সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার

49

বান্দরবানে দন্ডিত অপরাধীদের প্রবেশন,প্রায়োগিক সমস্যা এবং সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কার্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বিপুল কৃষ্ণ দাস,আইনজীবি সমিতির সভাপতি আবুল কালাম,সমাজসেবা অফিসার মিল্টন মুহুরী, গনমাধ্যমকর্মী মনিরুল ইসলাম মনু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।সেমিনারে দায়রা জজ, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, বিজিবি, পুলিশের সাতটি থানার ওসি, কারারক্ষী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,দেশের ৬৮টি কারাগারের কাগজে কলমে ধারণ ক্ষমতা হচ্ছে ৪৪ হাজার ৬৬৪ জনের। কিন্তু গতমাসের হিসাবমতে কারাগারে বন্দি আছেন ৮৮ হাজার ২১১ জন। সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূলে এবং অপরাধীদের ভুলপথ থেকে সুষ্ঠ-স্বাভাকিব জীবনে ফেরাতে অপরাধীদের সার্বিক বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে দÐিতদের প্রবেশন দেয়ার এখতিয়ার রয়েছে বিচারকের। তিনি আরও বলেন, অপরাধ বিবোচনায় দÐিত অপরাধীদের জীবন বৃত্তান্ত বিশ্লেষন করে একবছর থেকে দু’বছর পর্যন্ত প্রবেশন দেয়া যেতে পারে, যদি আদালত মনে করেন। তবে প্রবেশনের শর্ত অমান্য করলে অপরাধীকে সরাসরি সাজা দেয়ারও সুযোগ রয়েছে আদালতের। সে ক্ষেত্রে অপরাধীকে প্রবেশনের শর্ত মেনে চলতে হবে,নতুন করে কোনো ধরণের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাবেনা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থা অন্যতম লক্ষ্য হলো অপরাধীর সংশোধন।
প্রবেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে অপরাধীকে তার চরিত্র সংশোধনের সুযোগ দেওয়া যায়।এতে দেশরে আর্থসামাজিক অবস্থার উপর একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।তাই আইনগত ব্যবস্থার মধ্যে থেকেই অপরাধীকে দন্ডিত না করে প্রবেশন ব্যবস্থার আওতায় আনার উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রধান অতিথি ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্টানকে ফৌজদারী মামলার নিস্পত্তিতে নিজ নিজ ভুমিকা পালন এবং সকল থানার অফিসার ইনর্চাজ বৃন্দকে আদালত হতে প্রেরিত সমন, গ্রেফতারি পরোয়ানা, হুলিয়া যথা সমযে তামিল, তদন্ত যথাসময়ে সমাপ্তি ও আদালতে সাক্ষীর উপস্থিতি নিশ্চিত করণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।